প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং রাহুল গান্ধী। — ফাইল ছবি।
উত্তরপ্রদেশের অমেঠী আসন থেকেই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে লড়বেন রাহুল গান্ধী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর দিনই ঘোষণা করে দিলেন অজয় রাই। পাশাপাশি, আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, আগামী লোকসভা ভোটে বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে যদি দাঁড়াতে চান প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা, তা হলে তিনি পাশে পাবেন সর্ব স্তরের কংগ্রেস কর্মীকে।
আগামী লোকসভা ভোটে সকলের নজর রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের দিকে। প্রচলিত প্রবাদ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাজপথ উত্তরপ্রদেশ দিয়ে যায়। ২০২৪ সালে সেই রাজ্যের অমেঠী আসনে ফিরছেন কেরলের ওয়েনাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী। যে আসনে গত লোকসভা ভোটে তাঁকে ৫৫ হাজার ভোটে হারতে হয়েছিল অধুনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে। তবে রাহুল অমেঠীর পাশাপাশি ওয়েনাড থেকেও গত লোকসভায় লড়েছিলেন রাহুল। অমেঠী হতাশ করলেও ওয়েনাড থেকে জিতেই লোকসভায় প্রবেশ করেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েই শুক্রবার অজয় ঘোষণা করে দিলেন, রাহুল অমেঠী থেকে লড়বেন। তিনি বলেন, ‘‘অবশ্যই রাহুল গান্ধী অমেঠী থেকে লড়বেন।’’
অমেঠী কেন্দ্রে দীর্ঘ দিন কংগ্রেসের রমরমা ছিল। গান্ধী পরিবারের সদস্যেরা টানা জিতে এসেছিলেন অমেঠী থেকে। সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে। প্রসঙ্গত, একটা সময় সনিয়া গান্ধী অমেঠী থেকে লড়তেন। ২০০৪ সালে তিনি রাহুলকে অমেঠী ছেড়ে দেন। সেই থেকে রাহুল অমেঠীতে লড়ছেন। কিন্তু শেষ লোকসভায় অমেঠীতে হারের পর তিনি কেবলমাত্র ওয়েনাডেরই সাংসদ। স্বভাবতই কংগ্রেসের অন্দরেও জল্পনা ছিল, রাহুল কি পাকাপাকি ভাবে ওয়েনাডেরই সাংসদ থেকে যেতে চান? এই প্রেক্ষিতে অজয়ের দাবি ঘিরে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।
শুধু রাহুলই নন, উত্তরপ্রদেশের প্রদেশ সভাপতি মুখ খুলেছেন তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কাকে নিয়েও। ইঙ্গিতপূর্ণ ভঙ্গীতে তিনি বলেন, ‘‘যদি প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বারাণসী থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, তা হলে প্রতিটি কংগ্রেসকর্মী প্রাণ দিয়ে তাঁর জয় নিশ্চিত করবেন।’’
প্রসঙ্গত, প্রিয়ঙ্কার স্বামী বরার্ট বঢরা সম্প্রতি স্ত্রীর ভোটে লড়া নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘‘প্রিয়ঙ্কার অবশ্যই লোকসভায় থাকা উচিত। এ জন্য যা যা যোগ্যতা থাকা উচিত, সবই ওঁর রয়েছে। আমার আশা, কংগ্রেস পার্টি এটা স্বীকার করবে এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করবে।’’ রবার্টের এই মন্তব্যের পরেই প্রিয়ঙ্কার ভোটের ময়দানে লড়াই করার জল্পনায় অক্সিজেন পড়ে। যে জল্পনাকে আরও এক পাল্লা বৃদ্ধি করলেন গত লোকসভায় বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে লড়া অধুনা প্রদেশ সভাপতি অজয়।