নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের বিষয় উস্কে দিলেন রাহুল গান্ধী।
নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর নয় বরং রাষ্ট্রপতির করা উচিত বলে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিলেন রাহুল গান্ধী।
আগামী ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করতে চলেছেন। ঘটনাচক্রে ওই দিন বিনায়ক দামোদর সাভারকরের ১৪০তম জন্মবার্ষিকী। ওই দিনটি সংসদ ভবনের উদ্বোধনের জন্য বেছে নেওয়ার পিছনে এক দিকে যেমন হিন্দুত্বের হাওয়া তোলা তেমনি অন্য দিকে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দাদের বার্তা দেওয়ার তাগিদ বিজেপির রয়েছে বলেই মনে করছেন বিরোধীরা। তাঁদের মতে, সংসদের অভিভাবক হলেন রাষ্ট্রপতি। তাই তাঁর উচিত নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করা। বিরোধীদের দাবি, তা না হয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সব কৃতিত্ব লুঠ করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি নিজের প্রচারের সব আলো শুষে নিতে ব্যস্ত। সেই কারণে উপেক্ষা করা হচ্ছে রাষ্ট্রপতিকে।
বিরোধীদের অভিযোগ, নতুন ভবনকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতিকে উপেক্ষা করার এই ইতিহাস নতুন নয়। নতুন সংসদ ভবনের শিলান্যাস হয়েছিল ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ সালে। কিন্তু সেই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। পরবর্তী ধাপে ২০২২ সালের ১১ জুলাই যখন জাতীয় প্রতীক সিংহের ব্রোঞ্জের মূর্তির উদ্বোধন হয় তখনও আমন্ত্রিতের তালিকায় নাম ছিল না কোবিন্দের। বিরোধীদের যুক্তি, সংবিধানের ৭৯ ধারায় বলা হয়েছে, সংসদ রাষ্ট্রপতি, লোকসভা ও রাজ্যসভা নিয়ে গঠিত। কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করাটা সংবিধানসম্মত নয়। কারণ রাষ্ট্রপতি হলেন সংসদের উভয় কক্ষের প্রধান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হলেন কেবল লোকসভার নেতা। রাষ্ট্রপতির একমাত্র ক্ষমতা রয়েছে সংসদের অধিবেশন ডাকার।’’
আরজেডি সাংসদ মনোজ কুমার ঝা একই প্রশ্ন তুলে জানতে চেয়েছেন, ‘‘নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন কি রাষ্ট্রপতির করা উচিত ছিল না? আমার এটুকুই বক্তব্য...জয় হিন্দ।’’ আজ অন্য বিরোধী নেতাদের ধাঁচেই একই প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধী। আজ সকালে তিনি টুইট করে বলেন, ‘‘নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন রাষ্ট্রপতির করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর নয়।’’ কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপালের কথায়, ‘‘নিজেকে বড় প্রমাণ করার চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী ফের এক বার সংসদীয় মূল্যবোধকে ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে অপমান করলেন। রাষ্ট্রপতি হলেন সংসদের অভিভাবক এবং সংসদ উদ্বোধন করার প্রশ্নে যোগ্যতম ব্যক্তি। কিন্তু ঔদ্ধত্য ও প্রচারের আলো কেড়ে নিতে গিয়ে ফের রাষ্ট্রপতিকে এক কোণে ঠেলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।’’