ছবি: পিটিআই।
বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে থাকার সময়েই বৈঠকে তৎকালীন বিদেশসচিব এস জয়শঙ্করকে প্রতিবেশী কূটনীতি নিয়ে প্রশ্ন করতেন রাহুল গাঁধী। বাংলাদেশ এবং চিন তাঁর কৌতূহলের বিশেষ জায়গা ছিল। আজ একটি টুইট করে ভারতের প্রতিবেশী নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ‘দি ইকনমিস্ট’ পত্রিকার একটি নিবন্ধ উল্লেখ করে রাহুলের বক্তব্য, ‘কংগ্রেস গত কয়েক দশক ধরে যে সম্পর্ক তৈরি করে লালন করেছিল, নরেন্দ্র মোদী তা ধ্বংস করেছেন। বন্ধুহীন প্রতিবেশী বলয়ে বাস করা খুবই বিপজ্জনক।’
তাঁর এই মন্তব্য মোদীর বিদেশনীতি সংক্রান্ত চলতি বিতর্ককেই ফের উস্কে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। যে নিবন্ধটিকে তিনি উল্লেখ করেছেন তার বিষয়বস্তু হল, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দুর্বল হওয়ার ফলে, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী হচ্ছে। গত এক বছর তিন মাস ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে তৈরি হওয়া সম্পর্কের টানাপড়েনকেই রাহুল উল্লেখ করতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গাঁধী পরিবারের সঙ্গে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পর্ক সুবিদিত। সম্পর্ক এতটাই গভীর যে গত বছর শেখ হাসিনা ভারতে এসে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করার পরে প্রিয়ঙ্কাকে দেখতে চান। বাংলার মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ইন্দিরা গাঁধীর দলের সঙ্গে বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের সম্পর্ক কিংবদন্তি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদী ক্ষমতায় আসার পরে সুসম্পর্ক অব্যাহত থেকেছে।