রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
অমিত শাহ ইতিহাস জানবেন, এমন আশা তিনি করেন না বলে কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধী। প্রথমে লোকসভায়, তার পরে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে অমিত শাহ কাশ্মীর-সমস্যার জন্য জওহরলাল নেহরুকে দায়ী করেছিলেন। আজ অমিত শাহকে পাল্টা নিশানা করে রাহুল গান্ধী বললেন, ‘‘অমিত শাহ বোধহয় ইতিহাস জানেন না। উনি ইতিহাস জানবেন বলে আমি আশাও করি না। উনি তো ইতিহাস নতুন করে লিখতে থাকেন!’’
পাশাপাশি আজ রাহুল বুঝিয়ে দিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে ওবিসি-দের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণের জন্য জাতগণনার দাবি থেকে তিনি সরবেন না। হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হারের পরে প্রশ্ন উঠেছিল, জাতগণনার দাবি তুলে বিজেপিকে চাপে ফেলার কৌশল কাজ করছে কি না। রাহুল আজ ফের জাতগণনার দাবি তুলেছেন। তাঁর যুক্তি, প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী পদে ওবিসি থাকলেই হবে না। জনসংখ্যায় ওবিসিদের ভাগ নির্ধারণ করতে হবে।
জম্মু-কাশ্মীর সংক্রান্ত বিল পাশের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভা ও রাজ্যসভায় বলেছিলেন, নেহরুই জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার ৩৭০ অনুচ্ছেদকে অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে যোগ করেছিলেন। তাঁর ভুলেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ভূখণ্ড ভারতের অধিকারে আসেনি। তিনি কাশ্মীর সমস্যাকে রাষ্ট্রপুঞ্জে নিয়ে গিয়েছিলেন। আজ রাহুল বলেন, ‘‘পণ্ডিত নেহরু ভারতের জন্য নিজের জীবন ব্যয় করেছেন। বছরের পর বছর জেলে থেকেছেন।’’ রাহুল অভিযোগ করেন, এই সব আসলে প্রকৃত সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা। মূল বিষয় হল জাতগণনা। এ বিষয় নিয়ে ওরা আলোচনা করতে ভয় পায়।
ছত্তীসগঢ় ও মধ্যপ্রদেশে বিজেপির আদিবাসী ও ওবিসি নেতাদের মুখ্যমন্ত্রী করা নিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘আমাদেরও ওবিসি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, ওঁরা করেছেন। সেটা বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী ওবিসি। কিন্তু কেন্দ্রের ৯০ জন সচিবের মধ্যে তিন জন ওবিসি। আসল বিষয়, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় ওবিসিদের ভাগ কত, দলিতদের ভাগ কত, আদিবাসীদের ভাগ কত? এ সব থেকে নজর ঘোরাতে কখনও নেহরুকে, কখনও অন্যকে দোষারোপ করা হয়।’’