Rahul Gandhi

Rahul Gandhi: ‘লজ্জা করে না!’, বিলকিস-কাণ্ডে তোপ রাহুলের

ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এগারো জন পনেরো বছর কারাবাসের পরে স্বাধীনতা দিবসে গুজরাতের বিজেপি সরকারের মার্জনা নীতিতে মুক্তি পেয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২২ ০৬:৪৭
Share:

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ফাইল চিত্র।

বিলকিস বানোর গণধর্ষণে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দিয়েছে গুজরাতের বিজেপি সরকার। তার পরে তাদের সংবর্ধনা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা। এ নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে আমজনতা ও মহিলাদের একটা বড় অংশের মধ্যে। এ বারে টুইটারে সরাসরি নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লিখলেন, ‘‘আপনার লজ্জা করে না প্রধানমন্ত্রীজি?’’ এরই মধ্যে আবার গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে সাজা মকুব করা প্যানেলের সদস্য গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক সি কে রউলজি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘ওঁরা ব্রাহ্মণ, সংস্কারী, ভাল পরিবারের। তা ছাড়া সাজা দেওয়ার অসৎ-উদ্দেশ্যও তো থাকতে পারে।’’ এই মন্তব্যে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের ব্রাহ্মণ্যবাদী ও মনুবাদী নীতির বহিঃপ্রকাশ দেখছেন অনেকেই।

Advertisement

২০০২ গোধরায় অযোধ্যা-ফেরত তীর্থযাত্রীদের ট্রেন পোড়ানোর পরে শুরু হয় হিংসা। সেই সময়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, ২১ বছরের বিলকিস পালিয়ে বাঁচতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন। তাঁর তিন বছরের মেয়ে-সহ পরিবারের সাত জনকে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এগারো জন পনেরো বছর কারাবাসের পরে স্বাধীনতা দিবসে গুজরাতের বিজেপি সরকারের মার্জনা নীতিতে মুক্তি পেয়েছে। গোধরা উপসংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে এসে বুধবার সংবর্ধনা পেয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের থেকে।

টুইটে রাহুলের বক্তব্য, অপরাধীদের প্রতি বিজেপির সমর্থনই স্পষ্ট করে দেয়, মহিলাদের প্রতি তাদের দলীয় মনোভাবটা কী। উত্তরপ্রদেশের উন্নাও আর হাথরস এবং জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ার প্রসঙ্গ টেনে হিন্দিতে রাহুলের টুইট: ‘উন্নাও— বিজেপি বিধায়ককে বাঁচানোর চেষ্টা। কাঠুয়া— ধর্ষকদের সমর্থনে মিছিল। হাথরস— সরকার ধর্ষকদের পক্ষে। গুজরাত— ধর্ষকদের মুক্তি এবং সংবর্ধনা! অপরাধীদের সমর্থন মহিলাদের প্রতি বিজেপির নিচু মানসিকতারই নজির। প্রধানমন্ত্রীজি, এই রাজনীতির জন্য আপনার লজ্জা করে না?’

Advertisement

কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম টুইটে লিখেছেন, ‘গুজরাতে গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ১১ জনের মুক্তি মঞ্জুর করার নেপথ্যে একটা চমকপ্রদ গল্প আছে। এই সংক্রান্ত পর্যালোচনা প্যানেলে ছিলেন দুই বিজেপি বিধায়ক—সি কে রউলজি আর সুমন চৌহান!’ তাঁর প্রশ্ন, জেলাশাসকের সভাপতিত্বে ওই প্যানেলটি আদৌ অপরাধবিদ্যা ও কারাপালনের ব্যাপারে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গড়া হয়েছিল কি না। চিদম্বরম লিখেছেন, ‘প্যানেলের আর এক সদস্য মুরলী মুলচন্দানি, যিনি গোধরার ট্রেন পোড়ানো মামলার প্রধান সাক্ষী!’ শিবসেনা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী টুইটে লিখেছেন, ‘এটা আজ বিলকিস বানো, কাল আপনি হতে পারেন।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement