রাহুল গাঁধী।
মেহুল চোক্সী, নীরব মোদী, বিজয় মাল্যের মতো দেশের প্রথম সারির ৫০জন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির নাম প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। জানিয়েছে, এদের ৬৮,৬০৭ কোটি টাকার বকেয়া ঋণও ব্যাঙ্কগুলি অনুৎপাদক সম্পদের হিসেবের খাতা থেকে মুছে দিয়েছে। এই তথ্য সামনে আসতেই আজ নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেন রাহুল গাঁধী, সীতারাম ইয়েচুরিরা। বিজেপির বন্ধুদের ছাড় দেওয়া হল কেন, প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল।
দেশের প্রথম ৫০ জন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির নাম জানতে চেয়ে গত মাসেই সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন রাহুল। সে সময় অর্থ মন্ত্রক এর কোনও জবাব দেয়নি। রাহুল আজ বলেন, “কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তখন জবাব দিতে চাননি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ বার নীরব মোদী, মেহুল চোক্সীর মতো বিজেপির বন্ধুদের নাম ব্যাঙ্কের টাকা চোরদের তালিকায় তুলে দিয়েছে। সংসদে এই সত্যিটা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।”
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এর পাল্টা বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধী মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। উনি মনমোহন সিংহকে জিজ্ঞাসা করে বিষয়টি জেনে নিতে পারতেন। এই সব ঋণখেলাপিরা ইউপিএ আমলেই ঋণ পেয়েছেন।’’ চোক্সী, নীরব, মাল্যদের থেকে কী ভাবে পাওনা আদায়ের চেষ্টা হচ্ছে, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। নির্মলার দাবি, ঋণ মোটেই মকুব করা হয়নি। শুধু অনুৎপাদক সম্পদের তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বকেয়া আদায়ের প্রক্রিয়া চলবেই। কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী জমানার প্রথম পাঁচ বছরে সরকার ৬.৬৬ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মকুব করেছে। ইয়েচুরি বলেন, “মোদী সরকার বলছে, রুটিরুজি হারানো গরিব মানুষের জন্য টাকা নেই। এফসিআই গুদামে পচলেও নিখরচায় খাদ্যশস্য দেওয়ার টাকা নেই। কিন্তু মেহুল ভাইয়ের জন্য সব সময়েই টাকা রয়েছে।”
আরও পড়ুন: বাড়িতে আইসোলেশনে থাকবেন কী ভাবে, জানাল কেন্দ্র
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)