দিল্লির সরকারি বাংলো ছেড়ে ‘সত্যের’ কথা বললেন রাহুল। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস সূত্রে খবর মিলেছিল আগেই। সেই মতোই শনিবার নিজের সরকারি বাংলো ছেড়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সাংসদ পদ খারিজের পরেই সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিস পেয়েছিলেন রাহুল। শনিবার বাংলো ছা়ড়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে তোপ দেগে রাহুল বলেন, “আমি সত্য বলার জন্য যে কোনও মূল্য দিতে প্রস্তুত।” ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদের আরও সংযোজন, “হিন্দুস্তানের মানুষ ১৯ বছর আমায় এই বাড়িতে থাকতে দিয়েছিলেন। আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
গত প্রায় দু’দশক ধরে রাহুল গান্ধীর ঠিকানা ছিল লুটিয়েন্স দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো। শনিবার সেই বাংলো ছেড়ে দিলেন ওয়েনাড়ের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ। আপাতত মা সনিয়ার জন্য বরাদ্দ ১০ জনপথের সরকারি বাংলোই তাঁর ঠিকানা। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর সাংসদ হিসাবে ওই বাংলোটি বরাদ্দ প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়ার জন্য। লোকসভার হাউজ়িং কমিটি শনিবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত সরকারি বাংলো ছাড়ার সময়সীমা দিয়েছিল রাহুলকে। তা মেনেই নির্দিষ্ট সময়ে বাংলো ছেড়ে দিলেন তিনি।
শনিবার সকালে রাহুলের বাংলোয় গিয়েছিলেন তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা। দুপুরে তিনি আবার যান ১২ তুঘলক রোডে। ২০০৪ সালে অমেঠী লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে প্রথম সাংসদ হয়েছিলেন রাহুল। সে সময় তাঁর জন্য ওই বাংলোটি বরাদ্দ করেছিল লোকসভার হাউজ়িং কমিটি। পদ হারানোর পরেই তা ছেড়ে দিলেন তিনি।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। ওই রায়ের ভিত্তিতেই ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুরাতের দায়রা আদালতে রাহুল আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে দেন।