গত ২৩ মার্চ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। প্রতীকী ছবি।
সরকারি আদেশকে মান্যতা দিয়ে তুঘলক রোডের বাংলো তিনি ছেড়ে দেবেন। সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিস পেয়ে এমনটাই জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার চিঠি পাঠানোর জন্য লোকসভার সচিবালয়কে ধন্যবাদও জানান ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ।
লোকসভার হাউজ়িং কমিটির পাঠানো নোটিস পাওয়ার পর একটি চিঠি পাঠিয়ে রাহুল জানান, ‘‘জনগণের ইচ্ছায় গত চার বারের সাংসদ হওয়ার সুবাদে আমি এখানে ভাল সময় কাটিয়েছি। এখানে আমার সুখের স্মৃতিও তৈরি হয়েছে। আমার অধিকারের প্রতি পক্ষপাত না করে আমি চিঠিতে থাকা নির্দেশ মেনে নেব।’’
সোমবারই কংগ্রেস নেতাকে এক মাসের মধ্যে তাঁর সরকারি বাংলো খালি করে দেওয়ার নোটিস দেয় লোকসভার হাউজ়িং কমিটি। রাহুল ২০০৪ সাল থেকে লোকসভার সাংসদ। তাই নিয়ম মেনেই দিল্লিতে ১২ তুঘলক লেনে রাহুলের জন্য সরকারি বাংলো বরাদ্দ করা ছিল এত দিন। ২০০৫ থেকে তিনি ওই বাংলোয় থাকছিলেন।
লোকসভার সচিবালয়ে রাহুলের পাঠানো সেই চিঠি। ছবি: সংগৃহীত।
কিন্তু ২০১৯ সালে তাঁর করা মোদী-মন্তব্যের জন্য তাঁকে দু’বছরের জেলের সাজা দিয়েছে সুরাত জেলা আদালত। যার জেরে গত ২৩ মার্চ তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তার পরই মনে করা হচ্ছিল তুঘলক রোডের বাংলো খালি করতে হতে পারে সনিয়া-পুত্রকে। এর মধ্যেই সোমবার তাঁকে ওই বাংলো খালি করার নোটিস পাঠানো হয়। সংসদীয় বিধি অনুযায়ী পদ হারানোর পরে কোনও সাংসদ বাংলো ছাড়ার জন্য সর্বোচ্চ ১ মাস সময় পেতে পারেন। সেই সময়সীমা পেরোনোর পরেও বাংলো না ছাড়লে উচ্ছেদ করা হতে পারে।
সোমবার রাহুল জানিয়েছিলেন, এ রকম কোনও নোটিস তিনি পাননি। এর পর সেই নোটিস হাতে এসে পৌঁছতেই মঙ্গলবার রাহুল জানিয়ে দিলেন সরকারি আদেশ মেনে নিয়ে তিনি ওই বাংলো খালি করে দেবেন।
কিন্তু লোকসভার প্রাক্তন সাংসদের নতুন ঠিকানা কী হবে! মনে করা হচ্ছে, এখন থেকে মা সনিয়ার সঙ্গে ১০ জনপথের বাংলোয় থাকতে শুরু করতে পারেন রাহুল।