ছবি: পিটিআই।
কংগ্রেসের সভাপতি পদে রাহুল গাঁধী থাকবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই দিল্লিতে তাঁর বাংলো খালি করাতে তোড়জোড় শুরু করল লোকসভার সচিবালয়।
২০০৪ সালে প্রথম বার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর ১২ তুঘলক লেনের টাইপ-৮ বাংলোটি বরাদ্দ করা হয়েছিল রাহুলের নামে। তখন ক্ষমতায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। ২০১৪ সালে দিল্লিতে পালাবদলের পর নরেন্দ্র মোদীর সরকার রাহুলের বাংলো বদলের চেষ্টা করেনি। কিন্তু এখন ৫০০-র বেশি বাড়ি ও বাংলোকে চিহ্নিত করেছে লোকসভার সচিবালয়। সে গুলি এ বার খালি করতে হবে। এই তালিকায় রাহুলের বাংলোটিও রয়েছে। সচিবালয়ের যুক্তি, রাহুল চার বারের সাংসদ। তাঁর জন্য টাইপ-৮ বাংলো বরাদ্দ হতে পারে না। ওই ধরনের বাংলো সাধারণত প্রবীণ সাংসদদেরাই পেয়ে থাকেন। কংগ্রেসের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, ওই রকম কোনও বিজ্ঞপ্তির কথা তাদের জানা নেই। সাংসদদের বাড়ি বণ্টনের কাজটি আনুষ্ঠানিক ভাবে লোকসভার সচিবালয় করলেও বকলমে এটি মোদী সরকারেরই সিদ্ধান্ত। তবে এই সরকারের থেকে এই সিদ্ধান্ত মোটেই অপ্রত্যাশিত নয়। কংগ্রেসের যুক্তি, প্রধান বিরোধী দলের সভাপতির আলাদা মর্যাদা থাকে, তিনি কত বারের সাংসদ তা বিচার্য নয়।
প্রাপ্ত আসনের বিচারে কংগ্রেস সম্ভবত এ বারও প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাচ্ছে না। রাহুল নিজেও দলের সভাপতি থাকতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে আজ তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা ও আহমেদ পটেল। কংগ্রেস সূত্রের খবর, আগামিকালই দু’দিনের সফরে রায়বরেলী যাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা। তার আগে আজ দলের শীর্ষ নেতারা যে ‘বিকল্প’ প্রস্তাব তৈরি করেছেন, তা নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে।
কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘আপাতত দলের সব সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্যের দায়িত্বে থাকা নেতাদের বলা হয়েছে, সংগঠনের রদবদলের জন্য রাজ্যওয়াড়ি মতামত নিতে।’’ রাজ্য থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত সংগঠনের বদল হবে। এমনকি, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতেও বদল করা হবে। দলের নেতারা চাইছেন, এই কাজটি রাহুলের হাত দিয়েই হোক।
কর্নাটকের সমস্যা নিয়ে আজ এইচ ডি দেবগৌড়ার সঙ্গে দেখা করেন রাহুল। প্রিয়ঙ্কার উপস্থিতিতে পঞ্জাবের নভজ্যোত সিংহ সিধুও এসেছিলেন অসন্তোষ জানাতে। সিধু একটি চিঠিতে জানান, পঞ্জাবে দল ভাল ফল করলেও গ্রামে সে ভাবে দাগ কাটেনি। অথচ যে সব মন্ত্রীর এলাকায় দল হেরেছে, তাঁদেরই পুরস্কৃত করা হচ্ছে। আহমেদ পটেলকে পঞ্জাব-সঙ্কট নিরসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের নেতাদের কাছে প্রশ্ন, ‘‘প্রক্রিয়া তো শুরু হচ্ছে, কিন্তু রাহুল কি হাল ধরবেন?’’ কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলীয় সভাপতি একান্তই রাজি না-হলে রাহুল-সনিয়াকে রেখেই একটি ‘সামগ্রিক নেতৃত্ব’-এর বিকল্প খসড়াও তৈরি। রাহুলকে বোঝাতে প্রিয়ঙ্কারও সাহায্য চাইছেন নেতারা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।