National News

রাহুলকে সভাপতি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল কংগ্রেসে

দলের সভাপতি পদে রাহুলের অভিষেকের পথ চওড়া করতে সোমবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন সনিয়া গাঁধী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১২:২২
Share:

কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি হিসাবে রাহুল গাঁধীর নাম প্রস্তাব ওয়ার্কিং কমিটিতে। গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ।

শুরুরও একটা সূচনা থাকে। সোমবার ১০ জনপথে সেই সূচনাটাই করতে চেয়েছিলেন অসুস্থ কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধী। প্রত্যাশিত ভাবেই সেখানে দলের পরবর্তী সভাপতি হিসাবে রাহুল গাঁধীর নাম প্রস্তাব করল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। এবং তা পাশও হয়ে গেল। কাজেই, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরেই কংগ্রেস তার নতুন সভাপতি হিসাবে রাহুলকে পাচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্যতায় বিশ্বে তৃতীয় মোদী সরকার, বলছে রিপোর্ট

দলের সভাপতি পদে রাহুলের অভিষেকের পথ চওড়া করতে সোমবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন সনিয়া গাঁধী। গত ১৭ বছর ধরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সনিয়াই দলের সভাপতি হিসাবে কাজ চালাচ্ছেন। কিন্তু, গুজরাত ভোটের আগে রাহুলের রাজনৈতিক ওজন আরও বাড়াতে চেয়েছে কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যেই তাঁকে সভাপতির পদে দ্রুত আনা হচ্ছে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। এ দিন দলের ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকের পর কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজওয়ালা বলেন, ‘‘দলের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। রাহুল গাঁধীর নাম প্রস্তাব করেছে ওয়ার্কিং কমিটি। তা পাশও হয়েছে। যদি আর কেউ প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল না করেন, তবে তিনিই দলের পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন।’’

Advertisement

কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। ছবি: জাতীয় কংগ্রেসের সৌজন্যে।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আজ জানানো হয়েছে, সভাপতি পদের নির্বাচনের জন্য আগামী ১ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৪ ডিসেম্বর। ওই দিন বিকাল ৩টে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। পরের দিন অর্থাৎ ৫ তারিখ সেই মনোনয়নপত্র খতিয়ে দেখা হবে। প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ ডিসেম্বর। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ওই দিন বিকেল ৪টের সময়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর নির্বাচন। গণনা এবং ফলপ্রকাশ ১৯ তারিখ। যদিও কংগ্রেস সূত্রে বলা হয়েছে, রাহুল ছাড়া এখনও পর্যন্ত অন্য কোনও প্রার্থীর কথা তাদের জানা নেই। সম্ভাবনাও নেই বলে তাদের আশা। সে ক্ষেত্রে ৪ তারিখেই কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে রাহুলের নাম ঘোষণা করা গেলেও যেতে পারে।

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের হাতে হাত হার্দিক পটেলের

সনিয়া গাঁধী কংগ্রেসের সদস্য হওয়ার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৮-এর এপ্রিলে সীতারাম কেশরীকে সরিয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি তাঁকে সভাপতি মনোনীত করে। তার পর থেকে তিনিই দলের সভাপতি। মাঝে ২০০০ সালে সভাপতি পদের জন্য কংগ্রেসে এক বারই নির্বাচন হয়। সে বার সনিয়া গাঁধীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন জীতেন্দ্রপ্রসাদ। কিন্তু, জীতেন্দ্রপ্রসাদকে হারিয়ে ফের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন সনিয়া। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদেই থেকে গিয়েছেন সনিয়া। এ বার সেই জায়গাই পেতে চলেছেন রাহুল গাঁধী।

২০১৩ সালে দলের দু’নম্বর হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন রাহুল। এ বার পদোন্নতির অপেক্ষায় ৪৭-এর এই যুবক। ঘটনাচক্রে দলের সেই ব্যাটনটা তিনি মায়ের হাত থেকেই নেবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement