বিয়ে নিয়ে অতীতেও প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ছবি পিটিআই।
তাঁর বয়স ৫২। এখনও দেশের ‘মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর’ তিনি। কবে বিয়ে করবেন? প্রায় দু’দশকের রাজনৈতিক জীবনে বহু বারই এই ব্যক্তিগত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। সব সময়ই এই প্রশ্ন শুনে হেসেছেন সনিয়া-পুত্র। আবার কখনও বলেছেন, তাঁর জীবনে ‘বিশেষ কেউ নেই।’ কেমন পাত্রী পছন্দ, সে নিয়েও অতীতে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ। আবার এই প্রশ্ন করা হল রাহুলকে। এ বার সাংসদ জানিয়ে দিলেন, তিনি কবে বিয়ে করবেন। বললেন, ‘‘মনের মতো পাত্রী পেলেই বিয়ে করব।’’
গত ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করেছেন রাহুল। এই কর্মসূচিতে ভাল সাড়া পেয়েছেন সাংসদ। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ রাহুলের সঙ্গে হেঁটেছেন। রাজনৈতিক কর্মসূচি হলেও রাহুলের বেশভূষা চর্চায় থেকেছে। সাংসদের গালভর্তি দাড়ি নিয়ে যেমন কখনও আলোচনা হয়েছে, আবার প্রবল শীতেও শুধু টি-শার্ট পরে তাঁর হাঁটাও চর্চিত হয়েছে। এই আবহে ব্যক্তিগত প্রশ্নেরও মুখোমুখি হয়েছেন রাহুল। কেমন পাত্রী পছন্দ, কয়েক দিন আগেই সে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সাংসদ। আবার সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে সহাস্য জবাব দিলেন রাহুল।
‘কার্লি টেলস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিয়ের প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ খুলেছেন রাহুল। এই সাক্ষাৎকারে রাহুলের বিয়ে নিয়ে তাঁর মন্তব্য সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে। সাংসদের উদ্দেশে প্রশ্নকর্তা বলেন, ‘‘একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করব?’’ সম্মতি দেন রাহুল। এর পরই প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘বিয়ের পরিকল্পনা করছেন, না কি বিয়ে করবেনই না?’’ প্রশ্ন শুনেই হেসে ফেলেন রাহুল। বলেন, ‘‘যখন সঠিক পাত্রী পাব, তখন করব।’’
রাহুলের মুখে এ কথা শুনে প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞাসা করেন, কেমন পাত্রী পছন্দ, সে নিয়ে কোনও তালিকা রয়েছে? সাংসদের জবাব, ‘‘না, তবে এক জন ভাল মানুষ হতে হবে। বুদ্ধিমতী কেউ।’’ রাহুলের জবাব শুনে হাসতে হাসতে প্রশ্নকর্তা বলেন, ‘‘মহিলাদের কাছে আপনার এই বার্তা চলে গেল।’’ এ কথা শুনে রাহুলের সহাস্য মন্তব্য, ‘‘ঠিক আছে। আপনি আমায় বিপাকে ফেললেন এ বার।’’
রাহুল কবে বিয়ে করবেন— রাজনৈতিক চর্চার মধ্যেও এ নিয়ে কৌতূহল রয়েছে অনেকের। নানা সময়ই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন সাংসদ। সম্প্রতি ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময়ও এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাহুল। বলেছিলেন, ‘‘এটি বেশ মজার প্রশ্ন। আমি এমন এক জন মহিলাকে বেছে নেব, যাঁর মধ্যে আমার মা (সনিয়া গান্ধী) এবং ঠাকুমা (ইন্দিরা গান্ধী) দু’জনের গুণই রয়েছে।’’
এর আগে ২০১৮ সালেও এক বার এমন ব্যক্তিগত প্রশ্ন শুনতে হয়েছিল রাহুলকে। তাঁর জীবনে বিশেষ কেউ আছেন কি না, এ নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন প্রশ্নকর্তা। যার জবাব দিতে গিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘আমার জীবনে অনেক বিশেষ মানুষ আছে। আমার মা, বোন, বন্ধুরা।’’ রাহুলের এই কৌশলী জবাব শুনে প্রশ্নকর্তা আবার বলেন, ‘‘এক জন বিশেষ কেউ?’’ রাহুলের হাসি আরও চওড়া হয়। বলেন, ‘‘না, বিশেষ কেউ নেই।’’