ট্র্যাক্টরে চালকের আসনে রাহুল। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতা-কাণ্ড নিয়ে উত্তাল সংসদ। তার মধ্যেই কৃষক আন্দোলনকে সংসদভবন পর্যন্ত নিয়ে গেলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। সংসদের বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার ট্র্যাক্টর চালিয়ে সংসদে পৌঁছন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘কৃষকদের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে কয়েক জন শিল্পপতির পকেট ভরাতে চাইছে সরকার। কৃষক স্বার্থ বিরোধী কালো আইন প্রত্যাহার করতে হবে কেন্দ্রকে।’’
বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। সোমবার থেকে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেছেন মহিলারা। অন্য দিকে, সংযুক্ত কিসান মোর্চা-সহ একাধিক সংগঠনের নেতৃত্বে দিল্লি সীমানায় বিক্ষোভ চলছেই। সেই পরিস্থিতিতেই কৃষি আইনের বিরোধিতাকে সংসদে নিয়ে গেলেন রাহুল।
সোমবার দলের সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ট্র্যাক্টর চালিয়ে সংসদ ভবনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ট্র্যাক্টরের সামনে টাঙানো ব্যানারে বড় বড় হরফে লেখা ছিল, ‘কৃষক বিরোধী তিনটি কালো আইন প্রত্যাহার করুন।’ সংসদভবন চত্বরে পৌঁছে বলেন, ‘‘সংসদে কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা করতে দেওয়া হয় না। কৃষকদের দমিয়ে রাখছে সরকার। তাই কৃষকদের বার্তা সংসদে পৌঁছে দিতে এসেছি আমি। কালো আইন তুলে নিতে হবে সরকারকে।’’
প্রায় এক বছর ধরে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। দিনের পর দিন ধরনায় বসে সুরাহা না হওয়ায় অনেকে আত্মহত্যাও করেছেন। আবার আন্দোলন চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে অনেকের। তাদের কাছে সব মিলিয়ে ৫৩৭ জন কৃষকের মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা। কিন্তু সম্প্রতি সংসদে তা নিয়ে প্রশ্ন করলে কেন্দ্র জানায়, কৃষক মৃত্যু নিয়ে সরকারের কাছে কোনও তথ্য নেই।
এ নিয়ে প্রশ্ন করলে রাহুল বলেন, ‘‘সরকার তো এ-ও বলছে যে কৃষকদের মধ্যে কোনও অসন্তোষ নেই। সকলে খুশি। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা সব সন্ত্রাসবাদী। কাদের জন্য এই সরকার কাজ করছে, তা কারও জানতে বাকি নেই।’’