প্রিয়ঙ্কার টুইট করা সেই ছবি।
ভাইফোঁটার দিন ভিড় ১২, তুঘলক লেনের বাড়ির সামনে। রাহুল গাঁধীর বাংলো। এসপিজিতেও ছয়লাপ। দুপুরের পর এল প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার একটি টুইটও।
সে টুইটে ন’টি ছবি। রাহুল আর প্রিয়ঙ্কার। কোনওটি ঠাকুমা ইন্দিরা গাঁধীর কোলে, কোনওটি রাজীব-সনিয়ার। কোনও ছবি শুধুই ভাই-বোনের। প্রিয়ঙ্কা লিখলেন, ‘‘লাভ ইউ রাহুল।’’
কিন্তু কংগ্রেসের শিবির বলছে, রাহুল দিল্লিতেই নেই। গত সপ্তাহ থেকেই তিনি বিদেশে। রাহুল অবশ্য দিল্লিতে থাকুন বা না থাকুন, দলের কোনও বৈঠকের প্রয়োজন হলে প্রিয়ঙ্কা ভাইয়ের বাড়িই ব্যবহার করেন। আজও সেই কারণেই না কি ভিড়। নিরাপত্তাও সেই জন্য।
হরিয়ানা আর মহারাষ্ট্র নির্বাচনের আগেও রাহুল হঠাৎ চলে গিয়েছিলেন বিদেশে। ফিরেছিলেন প্রচার শেষ হওয়ার কিছুটা আগে। শেষ লগ্নে প্রচার করেছিলেন দুই রাজ্যে। কিন্তু কোথায় গিয়েছিলেন, কেন গিয়েছিলেন— দলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। প্রচার হয়েছিল, ব্যাঙ্ককে ছিলেন তিনি। দলের অনেকে জানিয়েছিলেন, রাহুল ছিলেন কম্বোডিয়ায়। যেমন অনেকে এখন বলছেন, রাহুল আছেন ইন্দোনেশিয়ায়। গত শনিবারই দিল্লি ছেড়েছেন তিনি। ফিরবেন কবে, তা অবশ্য জানা নেই। রাহুলের দফতরও কিছু জানাচ্ছে না।
‘অজানা’ কারণে রাহুলের ঘন ঘন বিদেশ সফর নিয়ে দলের মধ্যেই বিস্তর প্রশ্ন। বিজেপির মতো বিরোধী দল রাহুলকে ‘পার্ট টাইম’ রাজনীতিক বলে তোপ দাগার সময় তাঁর বিদেশ সফরের তালিকাই সামনে আনে। যদিও কংগ্রেস নেতারা বলেন, কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বাকিদের কী-ই বা বলার আছে? সম্প্রতি এআইসিসির সাংবাদিক বৈঠকেও এ কে অ্যান্টনি বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধী আরও বেশি শক্তি নিয়ে ফিরে আসবেন।’’ যদিও সেই সাংবাদিক বৈঠকে অ্যান্টনি বেশি গুরুত্ব দেন, অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকেই সে পদে রেখে দেওয়ার উপর। প্রবীণ এই নেতার মতে, দল যতদিন চাইবে, সনিয়াই সভানেত্রী থাকবেন।