রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতা খুব সহজেই সমাধান হয়ে যাবে, আশা প্রকাশ করলেন রাহুল গান্ধী।
আজ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা নিয়ে দর কষাকষি প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেন, ‘‘আলোচনা ভাল ভাবেই চলছে। দেখতে হবে তা কোন দিকে যায়। কী ভাবে আলোচনা শেষ হয়।’’
তৃণমূল কংগ্রেস এখনও পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে দু’টির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ। এ দিকে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের আলোচনায় ঠিক হয়েছে, কংগ্রেস অন্তত ছয় থেকে আটটি আসন পেলে আসন সমঝোতায় রাজি হতে পারে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিরোধী। তিনি বামেদের সঙ্গে জোট করতে চান।
‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র ফাঁকে কোহিমার চিয়েচামা গ্রামের ময়দানে সাংবাদিক বৈঠকে আজ রাহুল বলেছেন, ‘‘দু’একটি জায়গাতেই একটু বেশি জটিলতা রয়েছে। অধিকাংশ জায়গাতেই খুব সহজে আসন সমঝোতার সমাধান হয়ে যাবে।’’
তাৎপর্যপূর্ণ হল, নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরে এই চিয়েচামা গ্রামে রাহুলের সাংবাদিক বৈঠক আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন এক বঙ্গসন্তান— রণজিৎ মুখোপাধ্যায়। বর্তমানে এআইসিসি-তে নাগাল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত সচিব। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে কংগ্রেস হাই কমান্ডের বৈঠকে তিনিও হাজির ছিলেন। নিজের মতামতও জানিয়েছিলেন।
সেই বৈঠকের পরেও অধীর চৌধুরী নিয়মিত তৃণমূল নেতৃত্বকে নিশানা করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ‘সেটিং’-এর অভিযোগ তুলেছেন। পশ্চিমবঙ্গে ইডি-র অফিসারদের উপরে হামলার ঘটনার পরে বিজেপির সুরে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনেরও দাবি তুলেছেন। এ নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ। কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, অধীর চৌধুরীকে নির্দিষ্ট ভাবে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। তবে সব রাজ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের অকারণে শরিক দলের সঙ্গে তিক্ততা তৈরি না করার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
নীতীশ কুমারকে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের আহ্বায়ক করার প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রাহুল বলেন, ‘‘ইন্ডিয়ার শরিক দলের নেতারা পরস্পরকে সম্মান করেন। কোথাও কোনও জটিলতা নেই। যথেষ্ট ভাল ভাবেই বৈঠকে কথাবার্তা হয়।’’