সুরাতের আদালত চত্বরে রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই
বিদেশ থেকে ফিরে ফের উদয়ে রাহুল গাঁধী। আজ ও কাল ব্যস্ত আদালতে। মানহানি মামলায় হাজিরার জন্য। রবিবার থেকে ভোটমুখী মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় ঠাসা প্রচার। ‘প্রতিপক্ষ’ রাহুলকে ফিরে পেয়ে খুশি বিজেপিও। ভোট প্রচারে রোজ রাহুলের নাম করে বিঁধতে শুরু করেছেন অমিত শাহ।
বিদেশ থেকে ফিরেই আজ সকালে সুরাতের আদালতে যান রাহুল। লোকসভা ভোটের প্রচারে ললিত মোদী, নীরব মোদী, নরেন্দ্র মোদীর নাম নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘সব ‘চোর’দের পদবি কেন মোদী হয়?’’ গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদী তখন মানহানির মামলা করেন রাহুলের বিরুদ্ধে। আজ আদালতে রাহুল বলেন, তিনি দোষী নন। পরের শুনানি ডিসেম্বরে। তবে আর একটি মামলায় কাল হাজিরা আমদাবাদে।
রাহুল আসছেন বলে গুজরাতের কংগ্রেস নেতারা এ দিন বিমানবন্দরে জড়ো হন। ছিলেন আহমেদ পটেলও। যাঁর নেতৃত্বে ভোটমুখী রাজ্যের সমন্বয় কমিটি গড়েছেন সনিয়া গাঁধী। কাল তার বৈঠক রয়েছে। বিমানবন্দর থেকে আদালত পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে কংগ্রেস কর্মীদের ভিড়। রাহুলকে ঘিরে আগের মতোই উন্মাদনা। যে রাহুল সম্পর্কে সদ্য কালই সলমন খুরশিদ বলেছিলেন, কঠিন সময়ে দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছেন রাহুল গাঁধী। তাঁর আবার ফিরে আসা উচিত।
রাহুলও আজ কর্মীদের দেখে উচ্ছ্বসিত। আদালত থেকে বেরিয়ে টুইট করেন, ‘‘আমার প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করায় আজ সুরাতে। এরা আমার মুখ বন্ধ করতে মরিয়া। যে কংগ্রেস কর্মীরা আমার সমর্থনে জড়ো হয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সত্যমেব জয়তে।’’ রাহুল ১৩ অক্টোবর মহারাষ্ট্রে প্রচারে যাচ্ছেন। ১৩-তে লাতুর, মুম্বই ও ধারাভিতে সভা। পরদিন হরিয়ানায় সভা করে একদিন পরে আবার মহারাষ্ট্রে প্রচার।
রাহুল সক্রিয় হওয়ায় খুশি বিজেপিও। কারণ, প্রবীণ সনিয়া বা প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে আক্রমণ করাটা অপেক্ষাকৃত কঠিন। অমিত শাহ তাই রোজ রাহুলকেই ভোট-সভায় নিশানা করছেন। গত কাল যেমন বলেছেন, ‘‘রাহুল ভাইয়া, ৩৭০ অনুচ্ছেদ আর বিমান-হানা নিয়ে আপনি যা বলছেন, পাকিস্তানও তাই বলছে। রাহুলজি আপনি নরেন্দ্র মোদী, বিজেপিকে যত খুশি আক্রমণ করুন, কিন্তু ভারত-মাতার বিরোধ করলে জেলে যেতে হবে।’’ আজও ফের রাহুলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধী বলেছিলেন, কাশ্মীরে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে। কিন্তু একটিও বুলেট ছুড়তে হয়নি।’’