‘ভারত জোড়ো’র তিন দিনের মাথায় যাত্রা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন রাহুল। ফাইল চিত্র।
ভারত জোড়ো যাত্রায় তাঁকে ‘অক্লান্ত পরিশ্রম’ করতে দেখে নতুন করে ‘উজ্জীবিত’ হয়েছেন কংগ্রেসের সদস্য সমর্থকরা। সেই রাহুলই ভারত জোড়ো যাত্রায় শেষ অবধি থাকবেন কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল! কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল সম্প্রতি সেই গোপন কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, পদযাত্রা শুরু হওয়ার মাত্র ৩ দিনের মাথায় রাহুলের থাকা নিয়েই অনিয়শ্চতা তৈরি হয়। রাহুল তাঁকে ডেকে পরামর্শও দেন যে, অন্য কোনও নেতার নেতৃত্বে পদযাত্রা চালিয়ে যাওয়া হোক।
এই অনিশ্চয়তার কারণও জানিয়েছেন বেণুগোপাল। তিনি জানিয়েছেন, কন্যাকুমারী থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হওয়ার পর ৩ দিন পরে যখন সেটা কেরলে প্রবেশ করে, রাহুল তখন হাঁটুর যন্ত্রণায় কাবু হয়ে পড়েন। তাঁর যন্ত্রণা এতটাই বাড়ে যে, তিনি জানিয়ে দেন, অন্য কোনও নেতার নেতৃত্বে পদযাত্রা চালিয়ে নিয়ে যেতে। এই খবর প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর কাছে পৌঁছলে, তিনিও ভাইয়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং রাহুলের মতোই অন্য কোনও নেতাকে দিয়ে ভারত জোড়োকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বেণুগোপালের কথায়, “সে সময় আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। রাহুলকে ছাড়া আমরা এই কর্মসূচি চালিয়ে নিয়ে যাব, তা ভাবনারও অতীত ছিল।”
তবে দ্রুত মুশকিল আসানও হয়। রাহুলের পরিচিত এক ফিজ়িওথেরাপিস্টকে পদযাত্রায় যুক্ত করা হয়। মূলত তাঁর চিকিৎসাতেই ক্রমে সুস্থ হয়ে ওঠেন রাহুল। গত ৩০ কাশ্মীরে ভারত জোড়ো যাত্রার শেষ দিনেও রাহুলকে যথেষ্ট চনমনে থাকতে দেখেছেন সমর্থকরা। কংগ্রেসের বাইরেও বিভিন্ন মহল থেকে রাহুলের প্রশংসা করা হচ্ছে। কিন্তু ৪০০০ কিমিরও বেশি পথ অতিক্রম করা এই পদযাত্রায় রাহুলের থাকা নিয়েই যে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, এত দিন পর তাই প্রকাশ্যে নিয়ে এল কংগ্রেস। এ বিষয়ে রাহুলের প্রতিক্রিয়া অবশ্য পাওয়া যায়নি।