ফাইল চিত্র।
প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ ছিল, কংগ্রেস তেলঙ্গানায় কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের টিআরএস-এর সঙ্গে সমঝোতায় যাক।
প্রশান্ত কিশোরের সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পরে আজ রাহুল গান্ধী তেলঙ্গানার মাটিতে দাঁড়িয়ে বললেন, কংগ্রেস তেলঙ্গানায় টিআরএসের সঙ্গে কখনওই সমঝোতা করবে না। এর পরে যদি কংগ্রেসের কেউ টিআরএস-এর সঙ্গে সমঝোতার কথা বলেন, তাঁকে দল থেকে বার করে দেওয়া হবে। কারণ টিআরএস-এর সঙ্গে বিজেপির গোপন সমঝোতা রয়েছে। রাহুলের এই মন্তব্যের পরে তিনি পরোক্ষে প্রশান্ত কিশোরকেও বার্তা দিলেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ কংগ্রেসের সঙ্গে দর কষাকষির মধ্যেই কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক ২০২৩-এর তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য টিআরএস-এর সঙ্গে চুক্তি করেছিল।
রাহুল আজ তেলঙ্গানার ওয়ারাঙ্গলে জনসভায় বলেন, বিজেপি নিজে তেলঙ্গানায় ক্ষমতা দখল করতে পারবে না বুঝে, টিআরএস-কে বসিয়ে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে তেলঙ্গানা শাসন করতে চায়। এই আঁতাঁতের প্রমাণ হল, মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ক্ষমতায় থেকে চুরি, প্রতারণার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্র সিবিআই, ইডি-কে মাঠে নামায়নি।
কেসিআর সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা নিতে চান। এর আগেও কেসিআর ফেডেরাল ফ্রন্ট গড়তে উদ্যোগী হয়েছেন। কংগ্রেস যে একে বিজেপির হয়ে বিরোধী জোটে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা হিসেবেই দেখছে, তা আজ রাহুল আঁতাঁতের কথা বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রাহুলের সভা করার পরিকল্পনা থাকলেও টিআরএস সরকার তার অনুমতি দেয়নি। রাহুলের সফরের আগে তাঁকে কেসিআর-এর পুত্র কে টি রামা রাও, কন্যা কে কবিতা নিশানা করতে শুরু করেন। ‘রাহুল গান্ধী, আপনি কি মাদক পরীক্ষার জন্য তৈরি?’ লেখা নামহীন ব্যানার ছড়ানো হয় হায়দরাবাদে। যার পিছনে টিআরএস-এরই হাত দেখছে কংগ্রেস। সনিয়া গান্ধী তেলঙ্গানা গঠনের পিছনে প্রধান উদ্যোগ নিলেও কেসিআর তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ তুলে রাহুল বলেন, “২০২৩-এ টিআরএস বনাম কংগ্রেস লড়াই হবে। যিনি তেলঙ্গানার লক্ষ, কোটি টাকা চুরি করেছেন, তাঁকে আমরা ক্ষমা করব না।”