Rahul Gandhi

Rahul-Amrinder: পঞ্জাবে ভোট-প্রচারে প্রাক্তন কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় রাহুল গাঁধী

আজ পাটিয়ালার প্রচার সভা থেকে রাজ্যে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি ও আপ নেতৃত্বকে একযোগে আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৪৯
Share:

ফাইল চিত্র।

বিজেপির সঙ্গে তলে তলে সম্পর্ক রেখে চলছিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। তাই ভোটের আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অমরিন্দরকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আজ পাটিয়ালায় দাঁড়িয়ে রাহুল দাবি করেন, অমরিন্দরের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা চরণজিৎ সিংহ চন্নীর পিছনে গরিব-সাধারণ মানুষের সমর্থন আছে।

Advertisement

যদিও ভোটের মাত্র পাঁচ দিন আগেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার কংগ্রেস নেতৃত্ব। চন্নীকে আগামী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে যেমন আপত্তি রয়েছে নভজ্যোত সিংহ সিধুর তেমনই সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলে আজ দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন পঞ্জাবের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা মনমোহন সরকারের আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার।

পঞ্জাবে ফের এক বার কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে সাড়ে চার বছরের শাসন শেষে আচমকাই অমরিন্দর সিংহের হাত থেকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব কেড়ে নেন রাহুল। পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় চরণজিৎ সিংহ চন্নীকে। কেন ওই পরিবর্তন তা নিয়ে জল্পনা চললেও এ প্রসঙ্গে সে ভাবে মুখ খোলেনি রাহুল শিবির। কিন্তু আজ পাটিয়ালায়, অমরিন্দরের গড়ে দাঁড়িয়ে রাহুল বলেন, ‘‘সে সময়ে জানতে পারি অমরিন্দর তলায় তলায় বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন। যাতে ক্ষতি হচ্ছে দলের।’’ সেই কারণে অমরিন্দরকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানান রাহুল।

Advertisement

যদিও তাতে বিতর্ক থামেনি। অমরিন্দের পরে চন্নীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বেছে নেওয়া নিয়ে টানাপড়েনের জের এখন প্রবল। সে সময়েই অমরিন্দের পরিবর্তে চন্নীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তের ঘরোয়া ভাবে আপত্তি জানিয়েছিলেন সিধু। কিন্তু সিধুর পাকিস্তান যোগাযোগ সংক্রান্ত বির্তকের কারণেই তাঁর নামে সিলমোহর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস হাইকমান্ড। তা ছাড়া কংগ্রেস মনে করে, সীমান্ত প্রশ্নে পঞ্জাব স্পর্শকাতর একটি রাজ্য। সেই রাজ্যের কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিংহ সিধুর সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের তোলা ছবি ভোটের সময়ে বিরোধীদের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। আর তা বুঝেই সে সময়ে নাম কাটা যায় সিধুর। যার ফলে চেষ্টা করেও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ের তালিকায় মাথা গলাতে পারেননি সিধু।

আজ পাটিয়ালার প্রচার সভা থেকে রাজ্যে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি ও আপ নেতৃত্বকে একযোগে আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘‘এত দিন এক জন গুজরাত মডেল বিক্রি করছিলেন। এখন আর এক জন এসেছেন দিল্লি মডেল বিক্রি করতে। আসলে সবই এক। দু’জনের পিছনে একই শক্তি রয়েছে।’’ রাহুলের কথায়, ‘‘আমাদের দল কোনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না। যদি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি শুনতেই হয় তাহলে নরেন্দ্র মোদী কিংবা অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে শুনুন। আমি কেবল সত্য বলতে শিখেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement