Rahul Gandhi

সমাজমাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ: রাহুল

১৫ ডিসেম্বর আমেরিকায় হার্ভার্ডের পড়ুয়াদের সঙ্গে ওই আলাপচারিতা করেন রাহুল। আজ সমাজমাধ্যমে তার ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৪০
Share:

রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।

আদানির মতো প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি থাকায় আর্থিক বৃদ্ধি হলেও সম্পদের সঠিক বণ্টন হচ্ছে না বলে মনে করেন রাহুল গান্ধী। আমেরিকায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের সঙ্গে আলাপচারিতার সময়ে রাহুল দাবি করলেন, নরেন্দ্র মোদী জমানায় তাঁর ও বিরোধী নেতাদের সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টেও ‘ছায়া নিষেধাজ্ঞা’ জারি করে রাখা হয়েছে।

Advertisement

১৫ ডিসেম্বর আমেরিকায় হার্ভার্ডের পড়ুয়াদের সঙ্গে ওই আলাপচারিতা করেন রাহুল। আজ সমাজমাধ্যমে তার ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তিনি। পড়ুয়াদের একাংশ জানতে চান, ভারতের এই অবস্থা হলে নির্বাচনের ফলে তার প্রতিফলন হচ্ছে না কেন? কেন সরকারের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত হচ্ছে না? রাহুল বলেন, ‘‘সে জন্য নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম, নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, অর্থ জোগাড়ের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। ভেবে দেখুন যদি আমেরিকার রাজস্ব দফতর (আইআরএস), গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই কেবল বিরোধীদের নিশানা করে তা হলে কী অবস্থা হবে? ভারতে এখন তেমনই অবস্থা।’’

নিজের ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার কথা উল্লেখ করে রাহুল বলেন, ‘‘আমি ৪ হাজার কিলোমিটার হাঁটতে ভালবাসি বলে ৪ হাজার কিলোমিটার হাঁটিনি। আমাদের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার আর কোনও রাস্তা ছিল না।’’ রাহুল দাবি করেন, ‘‘আমার টুইটার, ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ২৪ ঘণ্টা ছায়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখা হয়েছে। একই অবস্থা সব বিরোধী নেতার। ভারতে এখন মুক্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চলছে বলে আমি বিশ্বাস করি না।’’

Advertisement

রাহুলের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি সরকার ভারতকে রাজ্যগুলির সমষ্টি হিসেবে দেখে না। তাদের হিসেবে ভারত এক মতবাদ, এক ধর্ম, এক ভাষার দেশ।’’ রাহুলের কথায়, ‘‘বিভিন্ন বিষয়ে দর কষাকষির প্রক্রিয়াকে ওরা মেরে ফেলতে চাইছে। দখল করতে চাইছে প্রতিষ্ঠান। সেটাই এখন ভারতে রাজনৈতিক লড়াইয়ের প্রকৃত চেহারা।’’ রাহুলের দাবি, তাঁরা মনে করেন যদি ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে আলোচনা বা দর কষাকষির পথ বন্ধ হয়ে যায় তবে ভারতের কাঠামো ভেঙে পড়বে। তাঁর মতে, এই কারণেই মণিপুরে গৃহযুদ্ধ চলছে। জ্বলছে জম্মু-কাশ্মীর।

রাশিয়া-ভারত সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেন, ‘‘মজবুত রাশিয়া-চিন অক্ষ আমেরিকার পক্ষে চিন্তার বিষয়। আমাদের সঙ্গে ঐতিহ্যগত ভাবে রাশিয়ার ভাল সম্পর্ক ছিল। আমেরিকার মিত্র হওয়ার অর্থ অন্যদের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া নয়।’’ জাতপাত এখনও ভারতের বড় সমস্যা বলে মেনে নিয়েছেন রাহুল।

‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা থেকে কী শিখলেন রাহুল? তাঁর জবাব, ‘‘আমি বুঝেছি পশ্চিমি দেশে ও ভারতে রাজনীতিকের যে ধারণা ছিল তা অনেকাংশেই মৃত। কারণ, রাজনীতিকেরা মানুষের কথা শোনা বন্ধ করে দিয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement