National News

মোদী পুলিশ ছাড়া দাঁড়ান পড়ুয়াদের সামনে: রাহুল

সদ্য গতকালই বিদেশ থেকে ফিরেছেন রাহুল। তাঁর ঘন ঘন সফর ঘিরে দলের মধ্যে অনেকেরই অসন্তোষ রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৫৮
Share:

পাশে: সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বিরোধী বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন রাহুল গাঁধী। সোমবার। ছবি: পিটিআই।

বৈঠক শেষে মায়ের সঙ্গে বেরোচ্ছেন রাহুল গাঁধী। ছেঁকে ধরলেন চিত্রসাংবাদিকেরা, ‘‘একটু একসঙ্গে দাঁড়ান।’’ সনিয়া গাঁধী সামান্য দূরত্ব রাখলেন।

Advertisement

সাংবাদিকদের জানানো হবে। কী হল কুড়িটি দলের বৈঠকে। রাহুল মা-কে ডাকতেই যাচ্ছিলেন, কিন্তু সনিয়া বেরিয়ে গেলেন সংসদ ভবনের চত্বর ছেড়ে। যা কিছু বলার দায়িত্ব যেন রাহুলের হাতেই ছেড়ে গেলেন।

সদ্য গতকালই বিদেশ থেকে ফিরেছেন রাহুল। তাঁর ঘন ঘন সফর ঘিরে দলের মধ্যে অনেকেরই অসন্তোষ রয়েছে। বিশেষ করে সনিয়া যখন রাহুলকে আবার সভাপতি পদে ফেরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সনিয়া চলে যেতেই বিরোধী দলের বাকি সদস্যদের পাশে নিয়ে রাহুল বললেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি। পুলিশ এবং অন্য সাহায্য ছাড়া দেশের যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তিনি ছাত্রদের সামনে দাঁড়ান। তাঁদের বলুন, কী ভাবে অর্থনীতি সামলাবেন, রোজগারের ব্যবস্থা করবেন। নরেন্দ্র মোদীর সেই সাহস দেখানো উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্য, প্রধানমন্ত্রীর সেই দম নেই, তাই পুলিশ দিয়ে দমন করছেন। এর আগে হয়েছে ‘নোটবন্দি-পার্ট ওয়ান’, এ বার ‘পার্ট-টু’। অর্থনীতির রথের সব চাকাই বসে গিয়েছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: এনপিআর রুখুন, বিরোধী বৈঠকে ডাক সনিয়াদের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, স্ট্যালিন, উদ্ধব, অরবিন্দ কেজরীবালের মতো নেতানেত্রীরা কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা আজ সনিয়ার ডাকা বৈঠকে আসেননি। বৈঠকে আজ রাহুল বলেন, ‘‘দেশ জুড়ে ছাত্রদের যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে, সব দলের তাঁদের পাশে থাকা উচিত। আর আসল বিষয় হল, বেহাল অর্থনীতি, বেকারত্ব। বিরোধী দলগুলির তা নিয়েই আরও বেশি সরব হওয়া উচিত।’’ বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, জি দেবরাজনদের মতো বাম নেতারা ছিলেন। বামেদের বক্তব্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর), জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ জন্মেছে। এখনই এই বিষয় নিয়ে না বলে শুধু অর্থনীতির দশা নিয়ে সরব হওয়াও সঠিক কৌশল হবে না। রাহুল তার পর সুকৌশলে দু’টি বিষয়কে জড়িয়েই সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বেকারি, আর্থিক পরিস্থিতির কারণে যুবকদের মধ্যে রাগ, ভয় আছে। তাঁরা ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন না। সরকারের কাজ রাস্তা দেখানো, মোদী সরকার তাতেও পুরো ব্যর্থ। তা সামলাতে না পেরে নরেন্দ্র মোদী দেশে বিভাজন করছেন, দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। যুবকরা যে আওয়াজ তুললেন, যথার্থ। তাঁদের কণ্ঠস্বর দমানো উচিত নয়, সরকারের তা শোনা উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement