কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। ছবি সংগৃহীত।
বিশিষ্ট শিল্পপতি বিজয় মাল্যের ভারত থেকে 'পালিয়ে যাওয়া'র ঘটনায় এ বার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।
শুক্রবার তাঁর টুইটে কংগ্রেস সভাপতি ওই ঘটনাকে বলেছেন 'মহা-পলায়ন'। এও বলেছেন, ''এর পিছনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কোনও ভূমিকা নেই, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ, সিবিআই চুপচাপ তার লুক-আউট নোটিসের বয়ান বদলে ফেলেছিল। প্রথম নোটিসে বলা হয়েছিল, মাল্যকে 'আটক করা হবে'। তার কিছু দিন পরেই আরও একটি নোটিসে সেই শব্দটি বদলে ফেলে সিবিআই। লেখে, মাল্যকে 'দেশে ফিরে রিপোর্ট করতে' হবে সিবিআইয়ের কাছে। এমন একটি হাই-প্রোফাইল, বিতর্কিত মামলায় সিবিআই তার নোটিসের বয়ান বদলে ফেলছে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই, এটা বিশ্বাস করা শক্ত। কারণ, সিবিআই সরাসরি রিপোর্ট করে প্রধানমন্ত্রীকেই।''
ভারত থেকে 'পালিয়ে যাওয়া'র পর সিবিআই প্রথম মাল্যকে লুক-আউট নোটিস পাঠায় ২০১৫ সালের ১৬ অক্টোবর। তার কয়েক সপ্তাহ পরেই নভেম্বরের ২৪ তারিখে মাল্যকে আরও একটি লুক-আউট নোটিস পাঠায় সিবিআই। সেখানেই বদলে যায় বয়ান।
& & লুকআউট নোটিসের বয়ানের সেই পরিবর্তনের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে ওই সময় সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল ''শিল্পপতি মাল্য তো প্রায়শই ভারত আর ব্রিটেনে আসাযাওয়া করেন। তাই তাঁকে হেফাজতে পাওয়াটা কোনও সমস্যা নয়। তার পরেও ২০১৫র ডিসেম্বরের ৯ ১০ এবং ১১ তারিখে মাল্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাই উনি (মাল্য) পালিয়ে যাবেন এটা ভাবার কোনও কারণ নেই।''
লুকআউট নোটিসের বয়ানের সেই পরিবর্তনের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে ওই সময় সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল ''শিল্পপতি মাল্য তো প্রায়শই ভারত আর ব্রিটেনে আসাযাওয়া করেন। তাই তাঁকে হেফাজতে পাওয়াটা কোনও সমস্যা নয়। তার পরেও ২০১৫র ডিসেম্বরের ৯ ১০ এবং ১১ তারিখে মাল্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাই উনি (মাল্য) পালিয়ে যাবেন এটা ভাবার কোনও কারণ নেই।''
& &
আরও পড়ুন- তবে কি মোদীর নির্দেশেই দেশ ছাড়েন মাল্য? প্রশ্ন রাহুলের
আরও পড়ুন- মিথ্যে বলছেন অরুণ জেটলি, জোর গলায় দাবি করলেন রাহুল
হালে লন্ডনে ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের বাইরে মাল্য সাংবাদিকদের জানান, ভারত ছাড়ার আগে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন, কী ভাবে সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলা যেতে পারে, তা নিয়ে। কিন্তু ব্যাঙ্কগুলিই সেই সময় বাগড়া দেয়।
গত কাল কংগ্রেস নেতা পি এল পুনিয়া জানান, তিনি নিজে দেখেছিলেন, সংসদের সেন্ট্রাল হলে বসে জেটলির সঙ্গে মাল্য কথা বলছেন মিনিট পনেরো-কুড়ি ধরে।
এ দিন রাহুলের কাছে বসেই পুনিয়া বলেন, ''আমি চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি। সেন্ট্রাল হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হোক। সেখানে যদি ওই বৈঠকের ছবি না পাওয়া যায়, আমি ইস্তফা দেব।''