Rahul Gandhi

Rahul-Mayawati: উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে যোগীর জয়ের জন্য দায়ী মায়াবতীই, রাহুলের নিশানায় বিএসপি প্রধান

দেশের আর্থিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও আজ সরব হয়েছেন রাহুল। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘‘মূল্যবৃদ্ধির অবস্থা দেখুন। দেশে কোনও চাকরি নেই। পরিস্থিতি পাল্টাতে হলে লড়াইয়ে নামতে হবে। লড়াইয়ের মাধ্যমেই একমাত্র পরিস্থিতি পাল্টানো সম্ভব।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২২ ০৫:৫৬
Share:

ফাইল চিত্র।

উত্তরপ্রদেশে বিজেপির নিরঙ্কুশ জয়ের পিছনে প্রকারান্তরে দলিত নেত্রী মায়াবতীকেই দায়ী করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

Advertisement

আজ দিল্লিতে দলিত সমাজের উপরে লেখা ‘দ্য দলিত ট্রুথ’ নামে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে রাহুল দাবি করেন, উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে মায়াবতীর সঙ্গে জোট করার প্রস্তাব দিয়েছিল কংগ্রেস। তাঁকে জোটের মুখ্যমন্ত্রী করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, কিন্তু ইডি-সিবিআই-পেগাসাসের কারণে মায়াবতী বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে রাজি হননি। রাহুলের কথায়, ‘‘আমরা মায়াবতীকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু উনি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পর্যন্ত রাজি হননি।’’ রাহুলের মতে, এর ফলে রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যায় বিজেপি।

আজ মায়াবতীর সমালোচনা করলেও, দলিত নেত্রীর রাজনৈতিক গুরু কাঁসিরামের প্রশংসা করেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘আমি কাঁসিরামজিকে শ্রদ্ধা করি। কারণ উনি দলিতদের উত্থানে রক্ত জল করে পরিশ্রম করেছিলেন।’’ কিন্তু দলিত সমাজের সেই উত্থানের ফলে স্বাধীনতার পর থেকে পাশে থাকা দলিত ভোট যে কংগ্রেসের থেকে সরে যায় তা-ও স্বীকার করে নেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘‘দলিত সমাজের উত্থানে সবথেকে বেশি রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল কংগ্রেসের। কিন্তু এতে অন্তত দলিতেরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়েছিলেন। আর এখন সেই দলিতদের নেত্রী মায়াবতী লড়াই থেকে পিছিয়ে গিয়েছেন।’’

Advertisement

রাহুলের মতে, এই মুহূর্তে দেশের তিন-চার জন বিলিয়োনেয়ার এবং ইডি-সিবিআই-পেগাসাস দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। মায়াবতীর নীরবতা প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘‘আমি যদি কারও থেকে এক টাকাও নিতাম, তা হলে আজ এই বক্তব্য রাখতে পারতাম না। আমাকে দূরে কোনও কোণায় গিয়ে বসে থাকতে হত।’’

আজ নিজের বক্তব্যে সঙ্ঘ পরিবার তথা বিজেপির সমালোচনা করে রাহুল বলেন, ‘‘বি আর অম্বেডকর আমাদের সংবিধান দিয়েছিলেন। সংবিধান হল অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অন্যতম হাতিয়ার। আমরা হামেশাই সংবিধানকে রক্ষার কথা বলে থাকি। কারণ সংবিধান দুর্বল হয়ে পড়লে তাতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন গরিব, দুর্বল, দলিত, সংখ্যালঘু
সমাজ, ছোট চাষিরা। কিন্তু সংবিধানকে বাস্তব জীবনে রূপায়ণ করতে হলে প্রয়োজন প্রতিষ্ঠান। কেননা প্রতিষ্ঠান ভিন্ন সংবিধান গুরুত্বহীন। কিন্তু সমস্যা হল বর্তমানে সমস্ত প্রতিষ্ঠানর কর্তৃত্ব সঙ্ঘ পরিবারের হাতে চলে গিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের হয়ে কথা বলার কেউ নেই।’’

রাহুল তথা বিরোধীদের এই অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। বিরোধীদের অভিযোগ, আট বছর আগে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা, সাংস্কৃতিক সংস্থা এমনকি বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থাতেও সঙ্ঘ মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগ করা শুরু করেছিল। বিরোধীদের দাবি, যার ফলে আজ দেশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলিতে নীতি নির্ধারণের
প্রশ্নে শীর্ষে রয়েছেন সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ কোনও ব্যক্তি বা বিজেপি নেতা-নেত্রীরা।

দেশের আর্থিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও আজ সরব হয়েছেন রাহুল। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘‘মূল্যবৃদ্ধির অবস্থা দেখুন। দেশে কোনও চাকরি নেই। পরিস্থিতি পাল্টাতে হলে লড়াইয়ে নামতে হবে। লড়াইয়ের মাধ্যমেই একমাত্র পরিস্থিতি পাল্টানো সম্ভব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement