Rahul Gandhi

Rahul Gandhi: বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে সরব রাহুল

বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে দেখা যায় কি না, তা নিয়ে এখনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:২৬
Share:

ফাইল চিত্র।

বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় নিয়ে আসা নিয়ে আদালতে শুনানির মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল আজ বলেছেন, ‘মহিলাদের সম্মতির প্রশ্ন সমাজে সবচেয়ে ছোট করে দেখা বিষয়ের একটি।’

Advertisement

বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে দেখা যায় কি না, তা নিয়ে এখনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি নরেন্দ্র মোদী সরকার। দিল্লি হাই কোর্টে এ নিয়ে বিভিন্ন আবেদনের শুনানি চলছে। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত আইনে সংশোধনের বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ফলে আলোচনার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা চলে না। তবে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের এই আলোচনাকে ‘ঢিলেমির কৌশল’ আখ্যা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়ে টুইটারে আজ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন রাহুল। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমাদের সমাজে সম্মতির বিষয়কে খুবই কম গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। তবে মহিলাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে একে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।’’ কংগ্রেস নেতা গৌবর গগৈ রাহুলের কথার প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ‘‘কোনও মহিলা সম্মতি দেবেনই, সেটা আগাম ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। পারিবারিক হিংসার সংজ্ঞার পরিধিকে আরও বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে হয়।’’

দিল্লি হাই কোর্টে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে যে আবেদনগুলি জমা পড়েছে, তাতে ভারতীয় দণ্ডবিধির এই সংক্রান্ত অনুচ্ছেদকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ৩৭৫ অনুচ্ছেদে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, স্বামী জোর করে স্ত্রী-র সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করলে অপরাধ হিসেবে গ্রাহ্য করা হবে না। তবে স্ত্রী-র বয়স ১৫-র থেকে বেশি হতে হবে।

Advertisement

তবে দেশে এই ধরনের ঘটনা বাড়তে থাকায় নারী অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলি সরব হয়েছে।
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, আইআরটি ফাউন্ডেশন, বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার মহিলারা বিচার পেতে আদালতের দরজায় পৌঁছেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য আদালতে জানিয়েছে, বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে দেখলে অনেক সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে, বিয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ভাবনায় আঘাত আসতে পারে। স্বামীদের শায়েস্তা করার জন্য এটি একটি সহজ অস্ত্র হয়ে উঠত‌ে পারে। তবে মামলার শুনানির সময়ে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতিরা বলেছেন, কোনও যৌনকর্মীর যদি না বলার অধিকার থেকে থাকে, একজন বিবাহিতা মহিলার তা থাকবে না কেন? আইনের চোখে কোনও বিবাহিতা মহিলার অধিকার আরও নিচুস্তর থেকে কেন দেখা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাই কোর্ট। তবে এ কথা বলতে গিয়ে আদালত কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে ছাড় দেওয়ার কথাও তুলে ধরেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement