রাহুল গান্ধী। —ফাইল ছবি।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রথম বিদেশ সফর। সেই সফরের মধ্যেও নরেন্দ্র মোদী এবং গৌতম আদানির যোগাযোগ নিয়ে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী।
সম্প্রতি ঋণ শোধ করতে না পেরে নিজেদের দেউলিয়া বলে দাবি করা ১০টি সংস্থার প্রায় ৬২,০০০ হাজার কোটি টাকার বকেয়া ঋণ মাত্র ১৬,০০০ কোটি টাকায় রফা করেছে ঋণদাতা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। অর্থাৎ সংস্থাগুলিকে আর বাকি ৪৬ হাজার কোটি টাকা শোধ করতে হবে না। এই ১০টি সংস্থাকেই কিনে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গৌতম আদানির আদানি গোষ্ঠী। এই তথ্য প্রকাশ পাওয়ার পরেই প্রতিবাদে সরব হয় ব্যাঙ্কের কর্মী ইউনিয়নগুলি।
সমাজমাধ্যমে আজ রাহুল বলেছেন, ‘‘আপনারা মোদীজির জাদুর কারসাজির কথা শুনেছেন? চোখের পলকে পরিশ্রমের আয়ের টাকা, কষ্ট করে জমানো সঞ্চয় সব আদানি গোষ্ঠীর মুনাফা ও সম্পত্তিতে পরিণত হয়ে যায়। আপনি টাকা জমিয়ে ব্যাঙ্কে রাখবেন। সেই টাকা ব্যাঙ্ক বড় বড় সংস্থাকে ধার দেবে। কখনও তারা ধার শোধ করতে পারবে না। সাধারণত ব্যাঙ্ক টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। কিন্তু মোদীজির জাদু হল, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলো ১০টি সংস্থাকে ৬১,৮৩২ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল। এক ধাক্কায় মোদীজি নিশ্চিত করলেন যাতে আদানি গোষ্ঠীর কিনে নেওয়া এই সংস্থাগুলির ১৬ হাজার কোটি টাকা শোধ করলেই হবে। অর্থাৎ ঋণ মকুব করে দেওয়া হল। এই সব সংস্থার কাছে বন্দর, বিদ্যুৎ প্রকল্প, মুম্বইয়ের খাস এলাকায় সম্পত্তি রয়েছে। সহজ কথায় সাধারণ মানুষের ৪৬ হাজার কোটি টাকা যা ব্যাঙ্কে রাখা ছিল, তা আদানি গোষ্ঠীকে উপহার দেওয়া হল।’’
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাহুল লন্ডন রওনা হয়েছেন। সেখান থেকে আমেরিকার ডালাস ও ওয়াশিংটনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত, পড়ুয়া, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপচারিতায় যোগ দেবেন।