রাহুল গাঁধী।
চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হতে আর পাঁচ দিন বাকি। তার আগে আজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী সরাসরি লকডাউন ব্যর্থ বলে অভিযোগ তুললেন। তাঁর বক্তব্য, ২৪ মার্চ গোটা দেশে লকডাউন জারির পরে ৬০ দিন কেটে গিয়েছে। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ২১ দিনে করোনা-যুদ্ধ জয় হবে। চার দফার পরে স্পষ্ট, লকডাউন ভাইরাসকে হারাতে পারেনি। প্রতিদিন সংক্রমিতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। রাহুলের প্রশ্ন, এর পরে নরেন্দ্র মোদী কী কৌশল নেবেন?
৩১ মে-র পরে লকডাউন পুরোপুরি উঠবে কি না, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। প্রধানমন্ত্রী ফের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কি না, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর মুখ খুলতে নারাজ। আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা জানিয়েছেন, এখনও এই সপ্তাহের পুরোটাই হাতে রয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, ৩১ মে-র পরেও অনেক বিধিনিষেধ জারি থাকবে। বিশেষ করে ধর্মীয়, সামাজিক বা রাজনৈতিক জমায়েতে, হোটেল-রেস্তরাঁর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকবে। তবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্বার্থে আরও কিছু ছাড় দেওয়া হবে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত নৈশ কার্ফুর সময়সীমাও কমিয়ে দেওয়া হতে পারে।
এখানেই সতর্ক করছেন রাহুল। তাঁর যুক্তি, অর্থনীতিকে ফের চালু করতে হলে নগদের জোগান দরকার। একই সঙ্গে লকডাউন নেই এমন পরিস্থিতির জন্যও কৌশল দরকার। তিনি বলেন, ‘‘বিশৃঙ্খল ভাবে লকডাউন তোলা হলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রী এখন ব্যাকফুটে চলে গিয়েছেন। তাঁকে ফ্রন্ট ফুটে আসতে হবে। বলতে হবে, বিকল্প রণনীতি কী।’’
ফুটপাতে বসে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে রাহুলের কথা বলাকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ‘ড্রামাবাজি’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন, রাহুল কেন শ্রমিকদের ব্যাগ বয়ে দিলেন না। রাহুল এ দিন জবাবে বলেন, ‘‘ওঁরা অনুমতি দিলে আমি শ্রমিকদের ব্যাগ বয়ে হেঁটে উত্তরপ্রদেশ পর্যন্ত যাব।’’