গত শুক্রবার রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়। ফাইল চিত্র।
সাংসদ পদ খারিজের পর রাহুল গান্ধীকে সরকারি বাংলো ছাড়তে নোটিস দেওয়া হল। সোমবার কংগ্রেস নেতাকে নোটিস দিয়েছে লোকসভার হাউজ়িং কমিটি। ২০০৪ সাল থেকে লোকসভার সাংসদ ছিলেন রাহুল। সেই সূত্রে দিল্লিতে ১২ তুঘলক রোডে রাহুলের জন্য সরকারি বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছিল। গত ২৩ মার্চ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এর পরই সেই বাংলো খালি করতে নোটিস দেওয়া হল সনিয়া-পুত্রকে।
আগামী ১ মাসের মধ্যে সরকারি বাংলো ছাড়তে রাহুলকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। যদিও রাহুলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এমন কোনও নোটিস তাঁরা পাননি।
মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে গত বৃহস্পতিবার রাহুলকে ২ বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে গুজরাতের সুরত জেলা আদালত। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর শুক্রবার বিকেল ৫টা ২৭ মিনিট নাগাদ টুইট করেছিলেন সনিয়া-পুত্র। লিখেছিলেন, ‘‘দেশের কণ্ঠস্বরের জন্য লড়াই করছি। প্রতিটি মূল্য চোকাতে প্রস্তুত।’’ এর পর, শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেন যে, মোদী-আদানি সম্পর্ক নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলাতেই নিশানা করা হয়েছে তাঁকে। তিনি এ-ও জানান যে, সংসদে তাঁর পরের বক্তৃতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভীত, তাই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে।