ছবি: পিটিআই।
এ বার রাজনৈতিক স্তর থেকে জেইই-নিট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি উঠল। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী আজ দাবি তুললেন, জেইই-নিট নিয়ে দেশের ছাত্রছাত্রীদের কথা কেন্দ্রীয় সরকার বিবেচনা করুক। কোনও
সমাধানসূত্র বের করা হোক। রাহুল সরাসরি পরীক্ষা পিছনোর কথা না বললেও লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন, কিছু দিনের জন্য সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা (জেইই-মেন) এবং ডাক্তারি প্রবেশিকা (নিট-ইউজি) পিছিয়ে দেওয়া হোক। অধীরের যুক্তি, দেশে প্রতিদিন সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ৭০ হাজার করে বাড়ছে। প্রায় ২৫ লক্ষ পড়ুয়া এই পরীক্ষায় বসতে চলেছেন। ছাত্রছাত্রীদের জন্যই তিনি প্রধানমন্ত্রীর দরজায় কড়া নাড়ছেন বলে জানিয়েছেন অধীর।
এর আগে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও জেইই-নিট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি খারিজ করে দেওয়ার পরে তিনি চিঠি লেখেন। কিন্তু দুই পরীক্ষার আয়োজক ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) তাতে সায় না-দিয়ে জানিয়ে দেয়, জেইই-মেন পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী, ১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বরেই হবে। ডাক্তারির প্রবেশিকা বা নিট হবে ১৩ সেপ্টেম্বরে। কিন্তু স্বামীর যুক্তি, ‘‘কয়েকদিন আগে এনটিএ আয়ুশ-এর প্রবেশিকা পরীক্ষা এইআইএপিজিইটি ও অন্যান্য পরীক্ষার অ্যাডমিড কার্ড বিলি করেও পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে তা মুলতুবি রেখেছে। তা হলে নিট-জেইই-তে হবে না কেন?’’
আরও পড়ুন: ৭৩ দিনে টিকা? ভুয়ো জানিয়ে দিল সিরাম
আরও পড়ুন: মোদীর ‘মিত্র’ ময়ূর, কেউ মুগ্ধ, কারও কটাক্ষ
রাহুলের মতে, লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া সরকারকে কিছু বলছে। সরকারের উচিত ছাত্রছাত্রীদের ‘মন কি বাত’ শোনা। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরারও যুক্তি, ‘‘করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এর মধ্যে যদি নিট ও জেইই পরীক্ষা দিতে যাওয়া ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে থাকেন, তা হলে কেন্দ্রীয় সরকার ও এনটিএ-র সে বিষয়ে চিন্তা করা উচিত।’’