পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র।
দেশে দেশে এক ‘অচ্ছে দিন’-এর স্বপ্ন ফেরি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এ বার বিদেশের মঞ্চে রাহুল গাঁধী বোঝাতে শুরু করেছেন, সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। বরং ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের ভাবনাই আক্রমণের মুখে। পরিস্থিতি বদলাতে অনাবাসী ভারতীয়দেরও উদ্যোগী হতে হবে।
সম্প্রতি আমেরিকায় বার্কলে ও প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের অবস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পরে এই প্রথম বিদেশ সফরে গিয়েছেন তিনি। রাহুল জানান, তিনি কংগ্রেসের প্রতিনিধি। কংগ্রেস গোড়া থেকেই দেশের সব ধর্ম, বর্ণ, অঞ্চলের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলার পক্ষপাতী। তাঁর অভিযোগ, দেশের বর্তমান সরকার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারছে না। ফলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেই ক্ষোভকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় পরিণত করার চেষ্টা করছে সরকার। কে কী খাচ্ছে, কে কী দেখবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ব্যক্তিগত বিশ্বাসের জন্য খুন হচ্ছেন মানুষ। এমনকী স্পর্শকাতর মামলার বিচার করার পরে বিচারকের রহস্য মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু সরকার নীরব।
কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরলে কোন বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিতে চান তিনি? রাহুল জানাল— প্রথমত, দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, উচ্চশিক্ষাকে সকলের নাগালে নিয়ে আসতে হবে। তৃতীয়ত, দেশকে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য পরিষেবার হাব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: অনুমতি মিলল না জিগ্নেশের সভারও
আজ বাহরাইনের যুবরাজ শেখ সলমন বিন হামাদ অল খলিফার সঙ্গেও দেখা করেন রাহুল। কংগ্রেস সূত্রে খবর, মোদী-রাজের দুরবস্থা নিয়ে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি অনাবাসীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহও করতে চাইছে কংগ্রেস। এই প্রচারের কৌশল তৈরিতে প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শশী তারুরের মতো নেতাদের নিয়ে একটি দল তৈরি করেছেন রাহুল। বিরোধী নেতা হিসেবে এখন তাঁর হাতে আমন্ত্রণের দীর্ঘ তালিকা আছে। সেই তালিকায় উপরের দিকে নাম রয়েছে রুশ ও চিনা সরকারের।