রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
মোদী পদবি নিয়ে মন্তব্যে মানহানির মামলায় গত বছর গুজরাতের আদালতের রায়ে সাংসদ পদ খারিজ হয়েছিল রাহুল গান্ধীর। তার জেরে ছাড়তে হয় দীর্ঘদিনের ঠিকানা, তুঘলক লেনের বাংলোও। এ বার অমিত শাহের বিরুদ্ধে মন্তব্যে মানহানির অন্য এক মামলায় আজ সুলতানপুরে এমপি-এমএলএ কোর্টে হাজিরা দিতে হল রাহুলকে। আর সেই দিনেই রাহুল বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে নিয়ে বিরোধী দলনেতা হিসেবে তাঁর জন্য বরাদ্দ সুনহেরি বাগ রোডের বাংলো পছন্দ করে এলেন। কংগ্রেসের কটাক্ষ, বিজেপি রাহুলের ছোট বাংলো কেড়ে নিয়েছিল। লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে এ বার ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের সমান মাপের বাংলো পাবেন রাহুল। যা রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেসের প্রত্যাবর্তনেরই প্রতিফলন।
মানহানির মামলায় আজ রাহুল গান্ধীকে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর এমপি-এমএলএ কোর্টে হাজিরা দিতে হয়েছিল। ২০১৮ সালে কর্নাটকে ভোটপ্রচারের সময়ে অমিত শাহের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা বিজয় মিশ্র। আজ রাহুলের বয়ান নথিভুক্ত করেছে আদালত। রাহুল জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি নির্দোষ। প্রমাণ খতিয়ে দেখার জন্য আগামী ১২ অগস্ট পরবর্তী শুনানি।
কংগ্রেস নেতা-কর্মী ছাড়াও বহু সাধারণ মানুষ রাহুলকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে সুলতানপুরে রাহুলেরই কাকিমা, বিজেপির মেনকা গান্ধীকে হারিয়ে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী এসপি-র রামভুয়াল নিশাদ সাংসদ হয়েছেন। রাহুলের কোর্টে হাজিরার মুহূর্ত হয়ে ওঠে সেই জয়ের উদ্যাপন-লগ্ন! লখনউ থেকে সুলতানপুর যাওয়ার সময়ে রাস্তাতেই এক চর্মকারের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। রাস্তার ধারে রাম চইত নামের ওই চর্মকারের সঙ্গে জুতো সারাইয়ের কাজেও হাত লাগান। লোকো পাইলটদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। এর আগে ট্রেন দুর্ঘটনার পরেও রেলের চালকদের সঙ্গে অভাব-অভিযোগ শুনেছিলেন রাহুল। তিনি বলেন, চালকেরা যথেষ্ট বিশ্রাম পাচ্ছেন না। রেল চালকদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের পক্ষেও সওয়াল করেন। নিট পরীক্ষার্থীরাও কথা বলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে। এর পরে দিল্লি ফিরে সুনেহরি বাগ রোডের বাংলো দেখতে যান।