নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।
সর্বদল বৈঠকে গত কাল যাননি রাহুল গাঁধী। আজ প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নৈশভোজেও এলেন না তিনি। এলেন না সনিয়া গাঁধীও।
নতুন সাংসদদের স্বাগত জানাতে রাজধানীর একটি হোটেলে নৈশভোজ। লোকসভা-রাজ্যসভা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে সাতশো সাংসদের কাছে পৌঁছেছিল নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণপত্র। তৃণমূল, বহুজন সমাজ পার্টি এবং আরজেডি আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, তারা এই নৈশভোজে যাবে না। লালু প্রসাদের মেয়ে মিসা ভারতী বলেছিলেন, বিহারে শিশু-মৃত্যুর আবহে তাঁদের মনে হয়েছে, নৈশভোজে যাওয়ার উপযুক্ত সময় এটা নয়। যাননি সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও।
রাহুল-সনিয়া না-এলেও কংগ্রেসের দুই কক্ষের দলনেতারা এলেন আজকের নৈশভোজে। অধীর চৌধুরীর একটু দেরিই হয়েছিল। এসে দেখেছেন, লোকসভায় কংগ্রেসের নতুন দলনেতার আসনটি নিজের টেবিলেই রেখেছেন মোদী। অধীরের সঙ্গে সেই টেবিলে বসলেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু, নতুন স্পিকার ওম বিড়লা, রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতা গুলাম নবি আজাদ, উপ-দলনেতা আনন্দ শর্মা এবং ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি। সকালে বক্তৃতা দেওয়ার আগে বহরমপুরের সাংসদকে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বলেছিলেন, ‘‘অধীর অভিনন্দন।’’ সন্ধ্যায় সকলের সামনেই অধীরের প্রশংসা করেছেন মোদী। ব্যক্তিগত গল্পগুজবও করেছেন তাঁর সঙ্গে।
বিজেপির দাবি, সব দলের সব সাংসদকে কোনও প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ এই প্রথম। নৈশভোজের আগে মিনিট পাঁচেকের বক্তৃতা দেন মোদী। বলেন, ‘‘আগামী পাঁচ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ। আসুন, একসঙ্গে কাজ করি।’’ সুমিত্রাকে সংবর্ধনা দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাক্তন স্পিকারের কাজের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। পরে সব টেবিলে ঘুরে ঘুরে সাংসদদের সঙ্গে মোদী ঘরোয়া ভাবে কথাবার্তা বলেন। সাংসদেরা অনেকে নিজস্বী তোলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বিজেপি নেতা রাজীবপ্রতাপ রুডির কথায়, ‘‘খুব সুন্দর কথাবার্তা হয়েছে।’’
নিরামিষ খাবারদাবার। ভেজ পকোড়া, মিক্সড ভেজ, বেগুনের পদ, কুলফি, আরও অনেক কিছু। মোদী সরকারের প্রথম ইনিংসে সরকারি তদন্তকারীরা বিস্তর বেগ দিয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ও তাঁর পুত্র কার্তিকে। কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভায় জিতে আসা কার্তিও হাজির ছিলেন আজকের নৈশভোজে। বললেন, ‘‘আমরা অনেকেই প্রথম বারের সাংসদ। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘরোয়া উদ্যোগটা খুব ভাল।’’ টিডিপি-ত্যাগী সাংসদেরাও ছিলেন।