মেরঠে ঢোকার আগে আটক রাহুল, প্রিয়ঙ্কা। ছবি: টুইটার
রবিবার লখনউ শহরে ঢোকার আগে বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। এ বার মেরঠে ঢোকার আগেই রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে আটকে দিল যোগী সরকারের পুলিশ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি) বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা। শেষ পর্যন্ত তাঁদের ফিরে যেতে হয়।
সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে নেমে এখনও পর্যন্ত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে মেরঠে। তাঁদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা করতেই মঙ্গলবার সকালে রওনা দিয়েছিলেন রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু, মেরঠ বাইপাসে তাঁদের কনভয় থামিয়ে দেয় পুলিশ-প্রশাসন। এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘আমরা পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এমন কোনও নির্দেশ আছে কি না। কিন্তু, তারা তা দেখাতে পারেনি। শুধু বলে, আপনারা দয়া করে ফিরে যান।’’ এর পর তাঁদের প্রতাপপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেরঠে এখনও পর্যন্ত যে কোনও ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও, কংগ্রেসের দাবি, তিন জনের একটি দলকে শহরে ঢুকতে দেওয়ার জন্য তাঁদের তরফে প্রশাসনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাও মানা হয়নি বলে অভিযোগ। বদলে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাকে সফর স্থগিত রাখতে বলে প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত ওই শহরে ইন্টারনেট সংযোগেও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
গত শুক্রবার সিএএ ও এনআরসি বিরোধী মিছিল কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মেরঠের পরিস্থিতি। মিছিল থেকে পুলিশকে ইট ছোড়া হয় বলে প্রশাসনের দাবি। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেলও। অভিযোগ, ওই সময়ে পুলিশ গুলিও চালায়। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। এর আগে, আন্দোলনে নেমে বিজনৌরেও দু’জনের মৃত্যু হয়। শনিবার, নির্বিঘ্নেই সেখানে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়ঙ্কা। বিজনৌরে গুলি চালানোর কথা পুলিশ স্বীকার করলেও, মেরঠের ঘটনা নিয়ে এখনও মুখে কুলুপ আঁটা তাদের।
সোমবারই রাজঘাটের সত্যাগ্রহ মঞ্চ থেকে পোশাক নিয়ে মোদীকে তীব্র শ্লেষে বিঁধেছেন রাহুল গাঁধী। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, পোশাক দেখেই তিনি প্রতিবাদীদের চিনে ফেলছেন। তা নিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীজি, পুরো দেশ আপনাকে আপনার পোশাকে চেনে। দু’কোটি টাকার স্যুট ভারতের জনতা পরেনি, আপনি পরেছেন।’’ ওই মন্তব্যের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে, আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিতে নামলেন তিনি।