ফাইল চিত্র।
‘পিএম কেয়ার্স’ তহবিলের টাকায় ভেন্টিলেটর কেনার ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী।
আজ একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন টুইট করেন রাহুল। তাতে একটি একটি স্টার্ট-আপ সংস্থার তৈরি ভেন্টিলেটরে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে খবর করা হয়েছে। পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে ৫০ হাজার ভেন্টিলেটর কেনার জন্য ২০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। তার মধ্যে ১০,০০০ ভেন্টিলেটর সরবরাহের বরাত পেয়েছিল আগভা হেল্থকেয়ার। মারুতি-সুজুকির সঙ্গে জোট বেঁধে তারা ওই ভেন্টিলেটর বানাচ্ছিল। প্রতিবেদনটিতে ‘আগভা’-র দুই প্রাক্তন কর্মী দাবি করেছেন, ভেন্টিলেটরগুলির সফ্টওয়্যারে কারচুপি করা হয়েছিল। এর ফলে রোগীদের ফুসফুসে যতটা অক্সিজেন যাচ্ছে বলে যন্ত্র দেখাচ্ছিল, আসলে যাচ্ছিল তার চেয়ে অনেক কম।
পিএম কেয়ার্সের অস্বচ্ছতা— ১) ভারতীয়দের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলা। ২) নিম্নমানের সরঞ্জাম কিনতে জনতার টাকা যাতে ব্যয় হয়, তা নিশ্চিত করা। রাহুল গাঁধী
রাহুলের টুইটের পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভ প্রশ্ন তোলেন, জুনের শেষে ৬০ হাজার ভেন্টিলেটর এসে যাবে বলে দাবি করেছিলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। তা হলে ২২ জুন পর্যন্ত মাত্র ১৩৪০টি ভেন্টিলেটর কেনা হল কেন? প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছিল, একটি ভেন্টিলেটরের দাম ৪ লক্ষ টাকা। আগভা ভেন্টিলেটর দিচ্ছিল দেড় লক্ষে। তা হলে বাকি টাকা কোথায় যাচ্ছিল? এর আগে ৪০ হাজার ভেন্টিলেটরের বরাত দিয়েছিল কেন্দ্র। পিএম কেয়ার্সে কি আলাদা ভেন্টিলেটরের বরাত দেওয়া হয়েছে? বরাত দেওয়ার আগে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল কি?