—ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতা করে দেড় মাস আগে পঞ্জাবে ‘ক্ষেতি বঁচাও যাত্রা’য় বেরিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তখনই তিনি মন্তব্য করেন, ‘আদানি, অম্বানী আর মোদী— এই তিন মিলে দেশ চালাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী এই দুই শিল্পপতির হাতের পুতুল।‘ নরেন্দ্র মোদীর ‘সুট বুট কা সরকার’ এবং ‘গরিব-বিরোধী’ নীতিকে তুলে ধরতে ধারাবাহিক ভাবে এই রাজনৈতিক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।
আজও ফের একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন তুলে ধরে রাহুল রীতিমতো ব্যঙ্গাত্মক টুইট করে বলেছেন, ‘স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সরকার কার বিকাশ করতে এত পরিশ্রম করছে!’ ওই প্রতিবেদনে এই দুই বাণিজ্যগোষ্ঠীর মোট সম্পত্তির তুলনামূলক বিচার করে বলা হচ্ছে, আদানি-অম্বানীকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আদানির সম্পত্তি ২০২০ সালের প্রথম ১০ মাস ১৫ দিনে ১.৪১ লাখ কোটি টাকা বেড়েছে। যেখানে অম্বানীর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১.২১ লাখ কোটি টাকা। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গুজরাতের এই আদানি গোষ্ঠীর সম্পদ তুঙ্গস্পর্শী হয়েছে।
এক কংগ্রেস নেতার কথায়, “নরেন্দ্র মোদী যখন প্রধানমন্ত্রীর পদে শপথ নেওয়ার জন্য দিল্লি এলেন, তিনি তাঁর বন্ধু আদানির জেট-এ দিল্লি এসেছিলেন। বন্ধুত্বের এই নির্লজ্জ প্রদর্শন থেকেই বোঝা যায় ক্ষমতা এবং বাণিজ্যিক পক্ষপাতিত্বের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। ২০১৪ সালের পর থেকে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ২৩০ শতাংশ। গোটা দেশে সরকারের বেশির ভাগ পরিকাঠামো এবং অন্যান্য প্রকল্পের বরাত তারাই পেয়েছে।’’
রাহুল গাঁধীর বক্তব্য, কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের নামে মোদী সরকার বেসরকারি সংস্থাকে সুযোগ করে দিচ্ছে চুক্তি চাষ করিয়ে চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি ফসল কেনার। আর এর ফলে সুবিধা পাবে আদানি-অম্বানীর সংস্থা। রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, দেশের অর্থনীতির দশা নিয়ে নিয়ে প্রায় প্রত্যেক দিনই টুইট করছেন রাহুল। সেইসঙ্গে দেশের মোদী-ঘনিষ্ঠ ধনী শিল্পপতিদের নিশানা করেছেন। আজকের টুইটেও তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। যে প্রতিবেদনটি তিনি ভাগ করে নিয়েছেন নিজের টুইটে, সেটিতে বলা হয়েছে, গৌতম আদানি দেশের নতুন ধনকুবের।