Rahul Gandhi

Rahul Gandhi: চিনা দখলদারি নিয়ে ফের তির কংগ্রেসের

কৃষি আইনের মতো চিনা দখলদারির প্রশ্নেও নরেন্দ্র মোদী সরকারের স্বচ্ছ অবস্থান নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গাঁধী।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২১ ০৬:২৪
Share:

কৃষি আইনের মতো চিনা দখলদারির প্রশ্নেও নরেন্দ্র মোদী সরকারের স্বচ্ছ অবস্থান নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গাঁধী।

কৃষি আইনের মতো চিনা দখলদারির প্রশ্নেও নরেন্দ্র মোদী সরকারের স্বচ্ছ অবস্থান নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গাঁধী। আজ অরুণাচল প্রদেশে চিনা দখলদারির প্রশ্নে আক্রমণ অব্যাহত রাখল কংসগ্রেস। অন্য দিকে ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের সময়ে দেশের নেতৃত্ব শক্তিশালী ছিল না বলে মন্তব্য করলেন অরুণাচলের রাজ্যপাল, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার বি ডি মিশ্র।

Advertisement

আজ দু’টি উপগ্রহ চিত্র ও একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তাঁর দাবি, উপগ্রহ চিত্রগুলি অরুণাচলের শি ইয়োমি জেলার। সিঙ্ঘভির দাবি, প্রথম উপগ্রহ চিত্রটি ২০১৯ সালের। তখন ওই এলাকায় কোনও বসতি ছিল না। পরেরটি চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ বা অক্টোবর মাসের গোড়ার দিকে তোলা। তাতে ওই এলাকায় ৬০টি বাড়ির একটি বসতি দেখা যাচ্ছে। সিঙ্ঘভির বক্তব্য, ‘‘এই বিষয়টি নিয়ে (সরকারের) কেউ কোনও কথা বলেননি। আবার কেউ আপনাদের বলেননি যে আমি অরুণাচল প্রদেশ ও চিনের কথা বলছি না। ওই চিত্র আফ্রিকা, টিমবুকটু বা সুইডেনের।’’ সম্প্রতি চিনা দখলদারি প্রসঙ্গে ভিন্ন সুর দেখা গিয়েছিল সেনা ও বিদেশ মন্ত্রকের মধ্যে। সেই প্রসঙ্গ তুলেও সরকারকে আক্রমণ করেছেন সিঙ্ঘভি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই এলাকা নিয়ে এক চিন বিশেষজ্ঞ নিবন্ধ লিখেছেন। তাতে বলা হয়েছে, সম্ভবত ওই এলাকায় অনুপ্রবেশ করে তা দখল করে সেটির একটি নামও দিয়েছে চিন।’’ কংগ্রেস নেতার মতে, ‘‘এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এক দিকে দেশে জাতীয় নিরাপত্তার নামে সকলকে চুপ করিয়ে রাখা হচ্ছে। অন্য দিকে এই বিষয়ে নীরব থাকছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় নিরাপত্তার এই সংজ্ঞা আমাদের জানা নেই।’’ সিঙ্ঘভির কথায়, ‘‘বিজেপিরই সাংসদ তাপির গাও বলেছিলেন পরবর্তী ডোকলাম অরুণাচল প্রদেশে হতে চলেছে। আমার অনুরোধ, অন্তত নিজেদের লোকের কথাটা শুনুন।’’
অন্য দিকে এ দিন ১৯৬২ সালের যুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক ফের উস্কে দিয়েছেন অরুণাচলের রাজ্যপাল বি ডি মিশ্র। অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার মিশ্র নিজেও ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

আজ চাংলাং জেলায় রাজপুত রেজিমেন্টের ১৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সৈনিক সম্মেলন উপলক্ষে দেওয়া বার্তায় রাজ্যপাল মিশ্র বলেন, “যদি ১৯৬২ সালে ভারতের নেতৃত্ব দৃঢ়চেতা হতেন তা হলে চিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীকে পরাজয়ের মুখ দেখতে হত না। কিন্তু এখন হিসেব উল্টে গিয়েছে। ভারতীয় সেনা এখন বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী।” তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি কেন্দ্রের মনোভাবে এখন আমূল পরিবর্তন এসেছে। ভারত সরকার এখন জওয়ানদের মঙ্গলের জন্য সর্বদা সচেষ্ট।”

Advertisement

মিশ্র ১৯৬১ সালে সেনা অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দেন। চিন যুদ্ধের পরে ১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধে তিনি ছিলেন কোম্পানি কমান্ডার। নাগা জঙ্গি দমন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কায় এলটিটিইর বিরুদ্ধে লড়াই, এনএসজি কমান্ডো হিসেবে কাশ্মীর ও পঞ্জাবে বিভিন্ন অভিযানে মিশ্রের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। মিশ্রর নেতৃত্বেই অমৃতসর বিমানবন্দরে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের হাইজ্যাক হওয়া বিমানে সফল এনএসজি অভিযান হয়। হাইজ্যাকারকে হত্যা করে যাত্রী ও ক্রু সদস্যদের নিরাপদে উদ্ধার করেন কমান্ডোরা। অবসরের পরেও স্বেচ্ছায় কার্গিল যুদ্ধে অংশ নেন তিনি। মিশ্র বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, “শৃঙ্খলা বজায় রেখে, কড়া অনুশীলনের মাধ্যমে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রত্যেক সৈন্যকে তৈরি থাকতে হবে। একই সঙ্গে নাগরিকদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখা খুব দরকার।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement