ফাইল চিত্র
সংসদে সদ্য পাশ হওয়া শ্রম বিধিকে শ্রমিকবিরোধী তকমা দিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করলেন রাহুল গাঁধী। প্রশ্ন তুললেন কর্মী ছাঁটাইয়ের রাস্তা প্রশস্ত করা নিয়ে। এই একই অভিযোগে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও বিঁধলেন কেন্দ্রকে।বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুলের টুইট, ‘চাষিদের পরে এ বার আক্রমণ শ্রমিকদের উপরে। গরিবকে শোষণ, ‘মিত্র’কে শোষণ— এটিই মোদীজির ভারত।’ বক্তব্যে আমজনতাকে প্রায়শই ‘মিত্রো’ বলে সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই বন্ধু সম্বোধন যে আসলে মেকি, সেটাই দেখাতে চেয়েছেন রাহুল। টুইটের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত নতুন শ্রম বিধি পাশের খবর। যে বিধি অনুযায়ী, ৩০০ জন পর্যন্ত কর্মীর সংস্থায় শ্রমিক ছাঁটাই কিংবা ব্যবসা গোটানোর জন্য সরকারি অনুমতি আর লাগবে না। এখন যে সংখ্যা ১০০।
ইতিমধ্যেই বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করছে বামপন্থী, কংগ্রেস-সহ সরকার-বিরোধী সমস্ত ট্রেড ইউনিয়ন। অভিযোগ, এতে আরও মসৃণ হল অবাধ ছাঁটাই এবং মর্জি মাফিক ব্যবসা বন্ধের রাস্তা। এ দেশে ৩০০ কিংবা তার কম কর্মীর সংস্থা ৭০%। সেখানে কাজ করেন ৭৪% কর্মী। এঁদের চাকরির আর কোনও নিরাপত্তা রইল না। কেন্দ্রের পাল্টা দাবি, ১৬টি রাজ্য তাদের শ্রম আইনে ইতিমধ্যেই এই বদল করেছে। নিয়োগ এবং ছাঁটাই নমনীয় হলে, বরং বিনিয়োগ আসবে। বাড়বে কাজের সুযোগও। কিন্তু সেই যুক্তিকে আমল দেয়নি এমনকি সঙ্ঘের কর্মী সংগঠন বিএমএস-ও। তারাও ঘোষণা করেছে, এই বিধির বহু অংশ শ্রমিক স্বার্থের পরিপন্থী। এতে এক তরফা ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে মালিক এবং আমলাদের হাতে।
এই ক্ষোভকে উস্কে দিয়েই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কার কটাক্ষ, “এই কঠিন সময়ে যাতে কারও কাজ না-যায়, তা নিশ্চিত করাটা জরুরি ছিল। কিন্তু বিজেপি সরকার এমন আইন এনেছে, যাতে ছাঁটাইয়েরই সুবিধা হয়! বাহ্ রে সরকার। সহজ করে দিয়েছ অত্যাচার।” আর রাহুলের অভিযোগ, চাষি এবং শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের বদলে বরং সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি ঘোরাতে ব্যস্ত মোদী সরকার।