রাজীব-স্মরণে মোদীকেই বিঁধলেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কারা

সকালে বীরভূমিতে রাজীবের সমাধিতে যান সনিয়া গাঁধী, রাহুল-প্রিয়ঙ্কারা। ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। যাঁকে সদ্য ‘ভারতরত্ন’ সম্মান দিয়েছে মোদী সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫৭
Share:

রাজীব গাঁধীকে নিয়ে একটি ছবির প্রদর্শনীতে রাহুল। মঙ্গলবার দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

কথায় কথায় রাজীব গাঁধীকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। আজ রাজীবের ৭৫-তম জন্মদিনে সকালে টুইট করে শ্রদ্ধা জানালেন সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর দিনভর রাজীবকে সামনে রেখে বকলমে মোদীকেই বিঁধে গেলেন রাহুল গাঁধী-প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরারা। এমনকি মনমোহন সিংহও।

Advertisement

সকালে বীরভূমিতে রাজীবের সমাধিতে যান সনিয়া গাঁধী, রাহুল-প্রিয়ঙ্কারা। ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। যাঁকে সদ্য ‘ভারতরত্ন’ সম্মান দিয়েছে মোদী সরকার। সংসদ ভবনে রাজীবের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে সনিয়া-রাহুলের পাশে হাজির ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী। এমনকি বিজেপির সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও, যিনি কথায় কথায় সনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হন। কিন্তু রাজীবকে নিজের ‘বন্ধু’ বলেই বরাবর দাবি করে এসেছেন।

এমন এক ব্যক্তিত্বের জন্মদিনে আজ সকালে টুইট করে মোদী লিখলেন: ‘‘আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা।’’ সারা দিন আজ গাঁধী পরিবার ব্যস্ত ছিল কখনও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের স্কুটি বিলিতে, পড়ুয়াদের জন্য ‘স্কিল ল্যাব’ চালু করতে, কখনও বা ল্যাপটপ বিলি করতে। রাজীব নিয়ে একটি প্রদর্শনীরও উদ্বোধন হল। আর এর ফাঁকেই বাবাকে স্মরণ করে রাহুল-প্রিয়ঙ্কা টুইট করলেন, যাতে থাকল পরোক্ষে মোদীকেই আক্রমণ।

Advertisement

রাহুল বললেন, ‘‘আমার বাবা কখনও ঘৃণা করতে শেখাননি। ক্ষমা করতে ও সকলকে ভালবাসতে শিখিয়েছেন।’’ আর বাবার সঙ্গে ছোটবেলার একটি ছবি পোস্ট করে প্রিয়ঙ্কার টুইট: ‘‘বাবার থেকে শিখেছি, মানুষের গল্প শোনো। আমার মতের থেকে আলাদা হলেও তাঁদের জন্য জায়গা রাখো। শিখেছি, পথ যতই কঠিন হোক না কেন, হাসিমুখে কী ভাবে এগিয়ে যেতে হয়।’’

ছেড়ে কথা বললেন না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনও। সকালে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘দেশ বলতে যা বোঝায়, তাতেই নিহিত আছে রাজীব গাঁধীর মূল্যবোধ। সেটি হল ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টি, সহিষ্ণুতার ভাবনা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি দায়বদ্ধতা আর সকলের জন্য সমবেদনা।’’ তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে এ দেশে কিছু অস্বস্তিকর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ, হিংসা বাড়ছে। ঘৃণাকে কাজে লাগিয়ে কিছু গোষ্ঠী এবং দল পাকিয়ে কিছু লোক আইন হাতে নিয়ে রাজনীতির ক্ষতি করছে। রাজীব গাঁধীর কাছে দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার থেকে বড় কিছু ছিল না। সেটি রক্ষা করতে আমাদের সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement