ছবি: পিটিআই।
পিএম কেয়ার্স তহবিল নিয়ে প্রথম থেকেই বিভিন্ন মহলে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ওই তহবিলে মোট অর্থের পরিমাণ এবং কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, সেই নিয়েই নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বারবার বিঁধেছেন বিরোধীরা। পিএম কেয়ার্স তহবিলের হিসেব পরীক্ষার দাবিতে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এ বার ভেন্টিলেটরের বরাতেও পিএম কেয়ার্সের দেওয়া টাকায় দুর্নীতির গন্ধ মিলছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করল।
এপ্রিলে চেন্নাইয়ের একটি মেডিক্যাল প্রযুক্তি সংস্থাকে সাত হাজার ‘বেসিক’ এবং তিন হাজার ‘অ্যাডভান্স’ ভেন্টিলেটরের বরাত দেওয়া হয়। যার অর্থ বরাদ্দ করা হয় পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ট্রিভিট্রন যখন বরাত পায়, সেই সময়ে বেসিক কিংবা অ্যাডভান্স কোনও ধরনের ভেন্টিলেটর তৈরির অভিজ্ঞতাই ছিল না তাদের। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। একেবারে অনভিজ্ঞ একটি সংস্থাকে কিসের ভিত্তিতে মোট ৩৭৩ কোটি টাকার বরাত দেওয়া হল?
ভেন্টিলেটরগুলি কত টাকায় কেনা হচ্ছে, তথ্যের অধিকার আইনে তা জানতে চেয়েছিলেন ভেঙ্কটেশ নায়েক নামে এক সমাজকর্মী। তার পরেই জানা যায়, বেসিক মডেলের এক-একটির দাম এক লক্ষ ৬৬ হাজার ৩৭৬ টাকা। অ্যাডভান্স মডেলের ভেন্টিলেটরের প্রতিটির মূল্য এর পাঁচ গুণেরও বেশি। আট লক্ষ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকা।
জানা গিয়েছে, প্রতিযোগী সংস্থার দেওয়া দামের নিরিখেই ট্রিভিট্রনের মডেলগুলির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সময়ে প্রতিযোগী সংস্থা আগভাও দরপত্রে বেসিক মডেলের একই দাম রেখেছিল। অন্যদিকে অ্যাডভান্স মডেলের ক্ষেত্রে অ্যালায়েড মেডিক্যাল লিমিটেড নামে একটি সংস্থার দরপত্রে মূল্য রাখা হয় ট্রিভিট্রনের দেওয়া মূল্যের চেয়ে ৫৬০০ টাকা বেশি।
ভেন্টিলেটরের বরাত দেওয়া হয় এইচএলএল লাইফ কেয়ার নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে। ওই সংস্থাটিই করোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন দ্রব্যের বরাত দিয়েছিল মোদী সরকারের তরফে। তবে এইচএলএল নয়, অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের অধীন অন্ধ্রপ্রদেশ মেডটেক জ়োন (এএমটিজ়েড) নামে একটি সংস্থার থেকে বরাত পেয়েছিল ট্রিভিট্রন। এইচএলএল ১৩,৫০০টি ভেন্টিলেটর তৈরির বরাত দিয়েছিল এএমটিজ়েড-কে। সেই বরাতের মধ্যে এএমটিজ়েড ১০ হাজার ভেন্টিলেটর তৈরি করতে দেয় ট্রিভিট্রনকে। তাদের দাবি, ইতিমধ্যেই সেই ভেন্টিলেটর তৈরি করা হলেও এখনও তা সরবরাহের নির্দেশ মেলেনি এইচএলএল-এর তরফে।