মোদীর এসপিজি কেন থাকবে, প্রশ্ন

পুলওয়ামাতে জঙ্গি হামলার দিনেই করবেটের জঙ্গলে শুটিং করছেন প্রধানমন্ত্রী। ঝিরঝির বৃষ্টি। তারই মধ্যে উপস্থাপকের সঙ্গে একা ভেলায় নদী পার হলেন মোদী। একাধিক ক্যামেরার কোনও ফ্রেমে নেই নিরাপত্তা কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২৯
Share:

ফাইল চিত্র।

গুজরাতের বিধানসভা ভোট। প্রচারের শেষ দিনে সাবরমতীর জল থেকে সিঙ্গল ইঞ্জিন বিমানে উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রশ্ন উঠল, প্রধানমন্ত্রী কি এই ভাবে সিঙ্গল ইঞ্জিন বিমানে চড়তে পারেন? এটা কি নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখানো নয়?

Advertisement

কেদারনাথ মন্দিরের চত্বর। একা হাঁটছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর ধারে কাছে নেই কোনও নিরাপত্তা রক্ষী। হঠাৎ ফ্রেমে ঢুকে পড়লে জুটতে পারে তিরস্কার! ছবি খারাপ হওয়ার ভয়ে আশেপাশে থাকেননি কোনও এসপিজি কর্মী। বিদেশের মাটিতেও প্রধানমন্ত্রীর ফটো ফ্রেমের বাইরে থাকতে হয় এসপিজি কর্মীদের।

পুলওয়ামাতে জঙ্গি হামলার দিনেই করবেটের জঙ্গলে শুটিং করছেন প্রধানমন্ত্রী। ঝিরঝির বৃষ্টি। তারই মধ্যে উপস্থাপকের সঙ্গে একা ভেলায় নদী পার হলেন মোদী। একাধিক ক্যামেরার কোনও ফ্রেমে নেই নিরাপত্তা কর্মীরা।

Advertisement

আজ রাহুল, সনিয়া ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার এসপিজি নিরাপত্তা সরিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। শাসক শিবিরের যুক্তি, গাঁধী পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে এসপিজির সঙ্গে সহযোগিতা করেননি। নিয়ম ভেঙেছেন। তাই তাদের এসপিজি নিরাপত্তা সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: আর এসপিজি নয় গাঁধীদের, নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল আধাসেনা

কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালার অভিযোগ, ‘‘নিরাপত্তা না-নেওয়াই যদি কারণ হয়, তা হলে প্রধানমন্ত্রীও দোষী। প্রধানমন্ত্রীর ফোটো তোলার সময়ে ধারে কাছে কেউ ঘেঁষতে পারেন না। এমনকি তাঁর রক্ষীরাও নন। যাতে ফোটো খারাপ না-হয়। অথচ, নিয়ম মতো প্রধানমন্ত্রীর চার পাশে সব সময়ে এসপিজি কর্মীদের থাকার কথা। দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এসপিজির ব্লু-বুক মেনে চলেন না। এমনকি একটি তথ্যচিত্রের শুটিংয়ের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ভেলার আশে পাশে কোনও নিরাপত্তা রক্ষীকে দেখা যায়নি। এটা নিরাপত্তার গাফিলতি নয়? রাহুলের নিরাপত্তাজনিত নিয়ম ভাঙা নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, তা হলে এ নিয়ে কেন উঠবে না?’’

প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদীকে একাধিক রোড শোয়ে হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে ভিড়ের সঙ্গে হাত মেলাতে বা ভিড়ে মিশে যেতে দেখা গিয়েছে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে গাড়ির পা-দানিতে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। কংগ্রেসের প্রশ্ন, রাহুল গাড়ির মাথায় চড়েছেন বলে শাসক শিবির তাঁর বিরুদ্ধে মোটর ভেহিক্যাল আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। রাহুল যদি দোষী হন, তা হলে প্রধানমন্ত্রী কেন ছাড় পাবেন?

পাল্টা যুক্তিতে বিজেপি শিবির বলছে, এটা ঠিক প্রধানমন্ত্রী অনেক সময়েই জনতার ভিড়ে মিশে যান। কিন্তু কোথায় তিনি নামবেন, কাদের সঙ্গে হাত মেলাবেন তা অনেক সময়েই আগে থেকে ছক কষা থাকে। সেই মতো ভিড়ের মধ্যে এসপিজি কর্মীদেরও মোতায়েন করা হয়। থাকে স্নাইপারও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement