জন্মের আগেই নাম উঠেছে যাদবপুর, আইআইটি খড়্গপুরের সঙ্গে এক তালিকায়! তিন সদস্যের কমিটির সুপারিশ সত্ত্বেও আইআইটি খড়্গপুর বা মাদ্রাজের কপাল খোলেনি। যাদবপুরের অবস্থাও তথৈবচ। অথচ উৎকর্ষের শিরোপা জুটে গিয়েছে না–জন্মানো জিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের কপালে!
প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার এন গোপালস্বামীর নেতৃত্বে তিন সদস্যদের কমিটিকে দেশের মোট ২০টি (১০টি সরকারি ও ১০টি বেসরকারি) সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিতে বলা হয়। প্রথম ধাপে দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেয় কমিটি। যার মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে জায়গা পায় আইআইটি (মাদ্রাজ, খড়্গপুর, বোম্বে ও দিল্লি), আইআইএসসি, বেঙ্গালুরু। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে দিল্লি, তামিলনাড়ুর অন্না এবং যাদবপুর। আর বেসরকারি বিভাগ থেকে জায়গা করে নেয় বিটস পিলানি, মণিপাল এবং জিয়ো। কমিটির তালিকায় আটটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রকাশ জাভড়েকরের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক তিনটির নাম ঘোষণা করেছেন। জিয়ো বিতর্কের পরে প্রশ্ন উঠেছে, কী কারণে এবং কোন যুক্তিতে ওই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে বাছা হল? বাকি পাঁচটা প্রতিষ্ঠান বাদ গেল কোন যুক্তিতে?
মন্ত্রকের বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে চূড়ান্ত তালিকায় কারা থাকবে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেও ওই তিন প্রতিষ্ঠান তালিকায় স্থান পায়। বাকিদের প্রশ্নে ইউজিসি-র সুপারিশ হল, এখনই না হলেও, পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে ওই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
কমিটির বিচারে আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উৎকর্ষের শিরোপা না পেলেও তাদের বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দিয়েছে কমিটি। রয়েছে আইএসআই-কলকাতা, আইআইএম (কলকাতা, আমদাবাদ)-সহ মুম্বইয়ের টিআইএসএসের মতো প্রতিষ্ঠান। কমিটি মনে করছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলির অনেকেই আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেয়েছে। ম্যানেজমেন্ট, কৃষি, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এগুলির আগামী দিনে উৎকর্ষের শিরোপা পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা।
কমিটির সুপারিশ, এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে সরকারি সাহায্য দেওয়ার প্রশ্নে নতুন সূত্র বার করুক কেন্দ্র। যাতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানগুলির পাশাপাশি দৌড়ে যারা একটু পিছিয়ে, তারাও উন্নতি করতে পারে।