আত্মরক্ষার জন্য মেয়েদের ক্যারাটে শেখানোর উদ্যোগ শুরুতেই প্রশ্নের মুখে পড়ল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ছাত্রছাত্রীরা যাতে পরস্পরের প্রতি মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করেন, সে বিষয়ে তাঁদের সংবেদনশীল করে তোলার একটা ব্যবস্থা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে আয়োজন করা হতো আলোচনাচক্র, দেখানো হতো ফিল্ম। কাজটা করত বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিগ্রহ বিরোধী ‘জেন্ডার সেন্সিটিভ কমিটি’। সেই কমিটি বাতিল করে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি নতুন কমিটি গড়েছেন। যার নাম ‘ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস কমিটি (আইসিসি)’। বিতর্কের শুরু তাতেই। দিল্লি পুলিশের সহযোগিতায় ২৩ অক্টোবর থেকে ছাত্রীদের জন্য ১০ দিনের আত্মরক্ষার ক্লাসের আয়োজন করেছিল আইসিসি। অনেক পড়ুয়াই যাননি। পড়ুয়া-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের অনেকের প্রশ্ন, কেউ ক্যারাটে জানে না বলে তাকে হেনস্থা করা যায়, এমন ভাবনাই প্রশ্রয় পাচ্ছে এতে। জেএনইউয়ের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি গীতা কুমারীর অভিযোগ, পরস্পরের স্বাধীনতা ও ইচ্ছাকে মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে সচেতন না করে মহিলাদের ঘাড়েই নিজেদের বাঁচানোর দায় চাপানো হচ্ছে। উঠেছে আগের কমিটি ফেরানোর দাবিও। আইসিসি-র কর্তা বিভা টন্ডনের বক্তব্য, মহিলাদের ভালর জন্য কোনও উদ্যোগই খারাপ নয়। কমিটি সূত্রের খবর, লিঙ্গবৈষম্য রোধে নানা কর্মসূচির কথা ভাবা হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তা ঘোষণা করা হবে।