পূর্ণিয়ার সাংসদ পাপ্পু যাদব। —ফাইল চিত্র।
আবার প্রাণনাশের হুমকি পেলেন বিহারের পূর্ণিয়ার নির্দল সাংসদ রাজেশ রাজন ওরফে পাপ্পু যাদব। তাঁর হোয়াট্সঅ্যাপে আসে এই হুমকিবার্তা। সেখানে প্রেরক নিজেকে গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে দাবি করেছেন। সেই বার্তায় প্রেরক স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন, ‘‘আজই আপনার জীবনের শেষ দিন। উপভোগ করে নিন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুন করা হবে!’’ মাসখানেকের মধ্যে এই নিয়ে ১৮ বার খুনের হুমকি পেলেন পাপ্পু। যদিও এই হুমকিতে পাত্তা দিতে নারাজ তিনি।
শনিবার রাতে পূর্ণিয়ার সাংসদের হোয়াট্সঅ্যাপে একটি বার্তা পাঠানো হয়। সেই বার্তায় দাবি করা হয়েছে, বিশ্নোই গ্যাংয়ের সদস্যেরা সাংসদের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাও তাঁকে বাঁচাতে পারবেন না। হুমকিবার্তার সঙ্গে একটি সাত সেকেন্ডের বিস্ফোরণের ভিডিয়োও পাঠানো হয়েছে।
পর পর হুমকিবার্তা নিয়ে ‘নিরুত্তাপ’ পাপ্পু। তিনি জানান, এমন হুমকি দিয়ে তাঁকে দমানো যাবে না। তিনি ভয় পান না কাউকেই। নিজের রাজ্য এবং দেশের স্বার্থে মরতে রাজি আছেন। পাশাপাশি হুমকিবার্তাগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পাপ্পু। তাঁর কথায়, ‘‘এই তদন্তের দায়িত্ব আইবি এবং র-এর উপর। সরকারের অবশ্যই তদন্তের ব্যাপারে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’’ কেন তিনি এত ঘন ঘন হুমকি পাচ্ছেন, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব চেয়েছেন পূর্ণিয়ার নির্দলীয় সাংসদ। তবে শনিবারের হুমকিবার্তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত তিনি কোনও এফআইআর করেননি। তবে পূর্ণিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে।
অক্টোবরের শেষের দিকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল সাংসদকে। সলমন খানের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্নোই গ্যাংয়ের হুমকি ফোনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পাপ্পু। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্নোই গ্যাংকে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন। তার কয়েক দিন পরেই সাংসদের কাছে হুমকি ফোন আসে বলে দাবি করেন। তার পর থেকে একাধিক বার কখনও ফোনে, কখনও আবার হোয়াট্সঅ্যাপে হুমকিবার্তা আসতে শুরু করে পাপ্পুর কাছে। হুমকিবার্তা পাওয়ার পর পরই নিজের নিরাপত্তা বাড়িয়ে নিয়েছিলেন পূর্ণিয়ার সাংসদ। একটি বুলেটপ্রুফ এসইউভি গাড়ি চড়েই এখন তিনি যাতায়াত করেন। যদিও তাঁর দাবি, গাড়িটি বন্ধুর থেকে উপহার পেয়েছিলেন তিনি।