পুরীর রথযাত্রার ইউনেস্কোর স্বীকৃতি আদায়ের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ফাইল চিত্র।
কলকাতার দুর্গাপুজোর মতো এ বার কি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাবে পুরীর রথযাত্রা? ইউনেস্কো-র ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি’ (আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য )-র তালিকায় পুরীর রথযাত্রাকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তুতি শুরু করলেন জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে ‘শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এসজেটিএ)। ইউনেস্কোর ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি’-র তালিকায় পুরীর রথযাত্রাকে অন্তর্ভুক্তি করানোর পদ্ধতি নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি এ নিয়ে ওড়িয়া ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি দফতরের একটি চিঠি দেওয়া হয় মন্দির কর্তৃপক্ষকে। সেই চিঠির পরই তৎপরতা শুরু হয়েছে।
প্রতি বছর রথযাত্রা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে। রথযাত্রা উপলক্ষে দেশ-বিদেশের বহু মানুষের জমায়েত হয় পুরীতে। সে কারণেই পুরীর রথযাত্রাকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য কী কী করণীয়, তা ঠিক করতে বিশেষ কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। সাত সদস্যের ওই কমিটিতে থাকবেন মন্দির কমিটির পাঁচ সদস্য। বাকি দু’জন ধর্মগুরু।
জানা গিয়েছে, ইউনেস্কোর স্বীকৃতির জন্য পুরীর রথযাত্রাকে মনোনীত করার কাজ এই বছরেই সম্পূর্ণ করা হবে। পুরীর রথযাত্রায় কী কী হয়, তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ তুলে ধরা হবে খসড়া মনোনয়নপত্রে। প্রসঙ্গত, ইউনেস্কো-র ইনট্যানজিবল হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার শারদোৎসব। ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজিত ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশনে ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে ইউনেস্কো-র ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’-র তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে।