ঘোড়াটি দেখে বেশ আহ্লাদিত হয়েছিলেন রমেশ। যাক, মনের মতো ঘোড়া তো পাওয়া গেল! ব্যবসায়ীদের এর জন্য প্রথমে নগদে সাত লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেন রমেশ। পরে বাকি টাকার দু’টি চেক দেন। মোট ২৩ লক্ষ টাকা ব্যবসায়ীদের দেন।
প্রতীকী ছবি।
ছিল বেড়াল হয়ে গেল রুমাল! না, যে পশুটির কথা বলছি সেটি বিড়াল নয়। ঘোড়া। এই পশুটি কেনার শখ অনেকেরই থাকে। কিন্তু বিপুল পরিমাণ দামের কারণে শখ থাকলেও তা পূরণ করতে পারেন না অনেকে। তবে এ ক্ষেত্রে শখ পূরণ করতে কার্পণ্য করেননি পঞ্জাবের রমেশ কুমার।
শখ ছিল কালো কুচকুচে একটা ঘোড়া কেনার। এ রকম একটি ঘোড়া যখন তিনি খুঁজছেন, তিন ঘোড়া ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ হয় রমেশের। রমেশ ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁর চাহিদার কথা জানান। কালো কুচকুচে ঘোড়া তাঁকে জোগাড় করে দেওয়া আশ্বাসও দেন ব্যবসায়ীরা। সেই মতো একটি ঘোড়া নিয়ে এসে রমেশের কাছে হাজির হন জিতেন্দ্র পাল সিংহ সেখোঁ, লখিন্দর সিংহ এবং লাচরা খান নামে ওই তিন ব্যবসায়ী।
ঘোড়াটি দেখে বেশ আহ্লাদিত হয়েছিলেন রমেশ। যাক, মনের মতো ঘোড়া তো পাওয়া গেল! ব্যবসায়ীদের এর জন্য প্রথমে নগদে সাত লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেন রমেশ। পরে বাকি টাকার দু’টি চেক দেন। মোট ২৩ লক্ষ টাকা ব্যবসায়ীদের দেন।
এর পরই এই কাহিনি মোড় নেয় ঘোড়াকে স্নান করাতে গিয়ে। কয়েক দিন বাদে ঘোড়াকে ভাল করে স্নান করানোর সিদ্ধান্ত নেন রমেশ। রগড়ে রগড়ে তাঁর প্রিয় পোষ্যকে যখন স্নান করাচ্ছিলেন, আশ্চর্যজনক ভাবে রমেশ খেয়াল করেন ঘোড়ার গা থেকে কালো রং উঠছে। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন হয়তো ঘোড়ার গায়ে ময়লা পড়েছে। কিন্তু ভুল ভাঙে একটু পরেই। যত তিনি জল দিয়ে ঘোড়ার গা ধুচ্ছিলেন ততই কালো রং উঠে আসছিল। একটা সময় দেখা যায় ঘোড়ার গায়ের রং লাল হয়ে গিয়েছে। ছিল কালো ঘোড়া, জল ঢালতেই হয় গেল লাল! এমন অবস্থা দেখে রমেশের আর বোঝার বাকি থাকেনি যে কত বড় প্রতারণা হয়েছে তাঁর সঙ্গে।
এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন রমেশ। তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।