প্রতীকী ছবি।
শখ করে ব্যাটারিচালিত স্কুটার কিনে নিয়ে এসেছিলেন শিবকুমার। কিন্তু সেই স্কুটারই প্রাণ কেড়ে নিল তাঁর। গুরুতর জখম তাঁর স্ত্রী হরথী। আহত তাঁর দুই সন্তানও। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার স্কুটারটি কিনে নিয়ে আসেন বছর চল্লিশের শিবকুমার। রাত ১০টা নাগাদ স্কুটারটি চার্জে বসিয়ে সন্তানদের নিয়ে ঘুমোতে চলে যান স্ত্রী। শোবার ঘরেই স্কুটারটি দাঁড় করানো ছিল। শনিবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ হঠাৎই বিস্ফোরণ হয় স্কুটারটিতে। তখন শিবকুমাররা সকলেই ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন।
বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ঘরে। সঙ্গে বিষাক্ত ধোঁয়া। আগুনে ঝলসে এবং দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শিবকুমারের। তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তানও আগুনে ঝলসে যান। পুলিশ জানিয়েছে, তিন জনের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। বিষাক্ত ধোঁয়া শরীরে ঢোকায় তাঁদের অবস্থা সঙ্কটজনক। ভাল চিকিৎসার জন্য তিন জনকেই বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
কয়েক দিন আগেই তেলঙ্গানার নিজামাবাদে ইলেকট্রিক স্কুটারের ব্যাটারি ফেটে মৃত্যু হয়েছিল এক বৃদ্ধের। তার কয়েক দিনের মধ্যেই ফের আরও এক জনের মৃত্যুতে ইলেকট্রিক স্কুটারের মান নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দেশে পর পর ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন ধরে যাওয়া, ব্যাটারিতে বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটেছে। দেশে যখন ইলেকট্রিক যানবাহন নিয়ে তোড়জোড় চলছে, তার মধ্যেই পর পর এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। তিনি সংশ্লিষ্ট গাড়ি সংস্থাগুলির উদ্দেশে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সরকার ইলেকট্রিক যানবাহনের গুণমান বিষয়ে যে নির্দেশিকা জারি করেছে, কোনও সংস্থা যদি সেই নির্দেশিকা অমান্য করে তা হলে তাদের মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হবে এবং ত্রুটিপূর্ণ সব গাড়ি ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।