মোদীর কনভয় তখনও আটকে। বুধবার ফাইল চিত্র
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয় আটকে থাকার ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করল পঞ্জাব সরকার। তিন দিনের মধ্যে ওই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে আছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মেহতাব সিংহ গিল, রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব এবং বিচারপতি অনুরাগ বর্মা। এরই মধ্যে, এই ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেখানে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে পাশাপাশি পঞ্জাবের মুখ্যসচিবকে অপসারণের দাবিও জানানো হয়েছে।
বুধবার পঞ্জাবের হুসেইনিওয়ালায় জাতীয় শহিদ স্মারকে একটি কর্মসূচির পর ফিরোজপুরে একটি জনসভা ছিল মোদীর। ঠিক ছিল, সকালে ভাতিন্দা বিমানবন্দরে নেমে কপ্টারে গন্তব্যে পৌঁছবেন তিনি। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে রওনা দেন তিনি। ওই যাত্রাপথে একটি উড়ালপুলে ১৫-২০ মিনিট আটকে ছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। তার পর সেখান থেকে কনভয় ঘুরিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে আসতে হয় মোদীকে।
এই ঘটনার পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরাণি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘নিরাপত্তায় গলদের জন্য ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি দেশে। প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের জন্য রাস্তা ফাঁকা করা স্থানীয় পুলিশের কাজ। তা কেন করা হল না? এটা চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু না। আমরা পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।’’
ঘটনার পর বিমানবন্দরে ফিরে মোদী খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‘বেঁচে ফিরতে পেরেছি, এই অনেক! এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী (পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী)-কে আমার হয়ে ধন্যবাদ জানাবেন।’’
বিজেপি-র সব অভিযোগ খারিজ করে দেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চন্নী। বলেন, ‘‘রাত ৩টে পর্যন্ত সব রাস্তা খালি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সড়কপথে আসার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। উনি বিমানবন্দরে এসে শেষ মুহূর্তে সড়কপথে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। আমাদের তরফ থেকে নিরাপত্তায় গাফিলতির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। বিজেপি মিছিলের ডাক দিয়েছিল। কোনও জনসভা ছিল না। ওতে লোক ৭০০ লোক হয়েছিল। তাই বাহানা করে মিছিল বন্ধ করা হয়েছে। ইচ্ছে থাকলেই পৌঁছানো যেত। অন্য রাস্তা দিয়েও যাওয়া যেত।’’