Arvind Kejriwal

সন্ত্রাসবাদীর মতো রাখা হচ্ছে! তিহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী কেজরীকে দেখে দাবি আর এক মুখ্যমন্ত্রী মানের

আগাম পরিকল্পনা অনুযায়ী, সোমবার তিহাড়ে গিয়ে কেজরীওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন মান। তবে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারেননি দুই মুখ্যমন্ত্রী। দু’জনের মাঝে ছিল কাচের দেওয়াল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২৫
Share:

অরবিন্দ কেজরীওয়াল (বাঁ দিকে) এবং ভগবন্ত মান। —ফাইল চিত্র

জেলে এক জন সন্ত্রাসবাদীর মতো রাখা হয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে। তিহাড়ে গিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর এমনটাই দাবি করলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছেন মান। আপ নেতা তথা পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “প্রধানমন্ত্রী কী চান?”

Advertisement

আগাম পরিকল্পনা অনুযায়ী, সোমবার তিহাড়ে গিয়ে কেজরীওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন মান। তবে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারেননি দুই মুখ্যমন্ত্রী। দু’জনের মাঝে ছিল কাচের দেওয়াল। একে অপরকে দেখতে পেলেও তাঁরা কথা বলেন ইন্টারকমের মাধ্যমে। কেজরীর সঙ্গে দেখা করার পর তিহাড় থেকে বেরিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মান। বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের যে, এক জন দাগী আসামিকে যে সমস্ত সুযোগসুবিধা দেওয়া হয়, কেজরীওয়ালকে সেটুকুও দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর দোষটা কোথায়?”

কেজরীওয়ালের সততা নিয়ে শংসাপত্র দিয়ে মান সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “উনি এক জন প্রকৃত সৎ মানুষ। উনি স্বচ্ছতার রাজনীতি করে বিজেপির রাজনীতিকে শেষ করেছেন। তাই তাঁর সঙ্গে এই আচরণ করা হচ্ছে।” ‘কেমন আছেন’, এই প্রশ্নের উত্তরে কেজরীওয়াল পঞ্জাবের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মান।

Advertisement

সম্প্রতি আম আদমি পার্টি (আপ)-র তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, স্ত্রী সুনীতা কেজরীওয়ালের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না তিহাড় জেলে বন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ দাবি করেন, কেজরীওয়ালকে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। একটি জানলা দিয়ে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে মাত্র।

অন্য দিকে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আপাতত স্বস্তি পাননি কেজরীওয়াল। আবগারি মামলায় ইডির গ্রেফতারি বেআইনি, এমন দাবি করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন আপ প্রধান। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে কেজরীর আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রিপোর্ট তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২৭ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সে দিনই ইডিকে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement