পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। —ফাইল চিত্র।
মত্ত অবস্থায় বিমানে ওঠায় বিদেশের মাটিতে একটি উড়ান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে। তাঁর এই আচরণ গোটা বিশ্বের পঞ্জাবিদের লজ্জায় ফেলেছে। আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী মানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করল পঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দল। যদিও বিরোধী দলের এই অভিযোগকে ভুয়ো বলে নস্যাৎ করেছে প়ঞ্জাবের শাসকদল। আপের পাল্টা দাবি, এটি অপপ্রচার।
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে লুফৎহানসার উড়ান থেকে মানকে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সে জন্য ওই উড়ানের বেশ কয়েক ঘণ্টা বিলম্ব হয়ে যায় বলে দাবি অকালি দলের। টুইটারে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ করেছেন অকালি নেতা সুখবীর সিংহ বাদল। তিনি লিখেছেন, ‘লুফৎহানসার উড়ানে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এতটাই মত্ত অবস্থায় উঠেছিলেন যে তিনি হাঁটতে পারছিলেন না। ওই বিমানে তাঁর সহযাত্রীদের উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে এই অস্বস্তিকর রিপোর্ট বেরিয়েছে। মানকে ওই বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এবং এতে উড়ানে চার ঘণ্টা দেরি হয়েছে। তিনি আপের জাতীয় সম্মেলনেও যোগ দিতে পারেননি। এই ঘটনা বিশ্বের সমস্ত পঞ্জাবিকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। শকিং, মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে এ সব রিপোর্টে পঞ্জাব সরকার একেবারে নিশ্চুপ!’
অকালি দলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আপের মুখপাত্র মলবিন্দর সিংহ। তাঁর দাবি, ‘‘জার্মানি থেকে ফেরার জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর বিমানে ওঠেন তিনি। তাঁকে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নয়াদিল্লিতে নামতে হত। সময়সূচি অনুযায়ী সঠিক সময়েই নয়াদিল্লিতে ফিরেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন, নিরর্থক এবং মিথ্যা অপপ্রচার।’’
অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যে একটি বিবৃতিতে লুফৎহানসার তরফে জানানো হয়েছে, ‘ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে দিল্লিগামী বিমানের উড়ানে নির্ধারিত সময়সূচির থেকে দেরি হয়েছে। তার কারণ আর একটি ঘরোয়া বিমান দেরিতে উড়েছে এবং অন্য এক বিমান বদল করা হয়েছে। তথ্যের সুরক্ষার খাতিরে কোনও যাত্রীর সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা সম্ভব নয়।’