পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবের যুব সমাজকে আর চাকরির খোঁজে বাইরে যেতে হবে না। বরং ইংরেজরা পঞ্জাবে চাকরি করতে আসবেন। সামাজিক মাধ্যমে এমন বার্তা দিয়ে বিরোধী এবং যুব সমাজের রোষের মুখে পড়লেন রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।
মাত্রই মাসখানেক আগে কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে পঞ্জাবে সরকার গঠন করেছে আম আদমি পার্টি। বেকারত্ব, মাদক, বিপুল আর্থিক দেনার বোঝা-সহ একগুচ্ছ সমস্যায় জর্জরিত পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ঘাড়ে যে বিপুল দায়িত্ব, তা তাঁকে প্রথম থেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন বিরোধীরা। এই অবস্থায় রবিবার রাজ্যের ‘মেধা পাচার’ প্রসঙ্গে ভগবন্ত মান টুইটারে লেখেন, ‘এ বছরও পঞ্জাব থেকে প্রায় পৌনে তিন লক্ষ বাচ্চার বিদেশে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু যে তারা বিদেশে যাচ্ছে, তা নয়। তাদের সঙ্গে মাথাপিছু ১৫ লক্ষ টাকাও বিদেশে চলে যাচ্ছে। একটু সময় দিন। এমন পরিবেশ তৈরি করব যে, ইংরেজরাও চাকরি খুঁজতে পঞ্জাবে আসবেন।’
মানের এই মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিরোধী কংগ্রেসের বিধায়ক সুখপাল সিংহ খৈরা টুইটারে পাল্টা খোঁচা দিয়ে লেখেন, ‘আমিও সত্যিই আশা করি যে, বিদেশিরা পঞ্জাবে চাকরি খুঁজতে আসুন। কিন্তু তার আগে আমাদের তো ঘর গোছাতে হবে। যুব সমাজের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করুন, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখুন, দুর্নীতি দমন করুন, পুলিশ এবং প্রশাসনকে রাজনীতিমুক্ত করুন, দেনার দায়ে কৃষক ও শ্রমিকদের আত্মহত্যা রোধ করুন এবং এটা প্রকৃত শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলুন।’
শুধু কংগ্রেস বিধায়ক নন, একই কথা বেকার যুবদের অনেকেরই। তাঁদেরই একজনের মন্তব্য, ‘নতুন মুখ্যমন্ত্রী আগে রাজ্যের সমস্যাগুলো মেটান। তার পরে সাদা চামড়ার লোকেদের এখানে চাকরি করতে আসার স্বপ্ন দেখবেন!’ যুব সমাজের অনেকেই হতাশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, মাদকে আসক্ত যুব সমাজকে নিয়ে ভাবুন। তাঁদের চাকরি দিন, তাঁদের হতাশা কাটিয়ে বাঁচতে দিন। আরও অনেক কাজ আছে। সেগুলো করুন। তার পরে বিদেশিদের চাকরি দেওয়ার কথা ভাবুন উনি।