Amarinder Singh

দিল্লি ছেড়ে সীমানায় ফেরার জন্য আন্দোলনকারীদের আবেদন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর

পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি হিংসার ঘটনার নিন্দা করে কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২১ ০৮:৫৬
Share:

ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ। ফাইল ছবি।

প্রজাতন্ত্র দিবসে আন্দোলনকারী কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল দাপিয়ে বেরিয়েছে দিল্লির রাস্তায়। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়েছেন কৃষকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে নেমে দ্রুত আসরে নামেন কৃষক নেতা থেকে শুরু করে এই আন্দোলন সমর্থনকারী বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি হিংসার ঘটনার নিন্দা করে কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

Advertisement

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে প্রবল ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই করছিলেন কৃষকরা। কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্র্যাক্টর মিছিল ঘিরে হিংসা এই আন্দোলনে অল্প হলেও দাগ লাগিয়েছে। কয়েক জনের জন্য যাতে এত বড় আন্দোলনের কোনও ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করতে তৎপর হয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘দিল্লিতে ভয়াবহ দৃশ্য। কয়েক জনের দ্বারা এই হিংসা মেনে নেওয়া যায় না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীরা যে পরিবেশ তৈরি করেছিলেন এই পরিস্থিতি তা নষ্ট করছে। সত্যিকারের কৃষক যাঁরা আন্দোলন চালাচ্ছেন, তাঁদের অনুরোধ করছি দিল্লি খালি করে দিন। সবাই সীমানায় চলে আসুন’।

এই হিংসার আঁচ যাতে পঞ্জাবে না আসে সে ব্যাপারেও সতর্ক অমরেন্দ্র। নিজের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে সেখানকার পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসারদের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত ২৬ জানুয়ারি যে পথে ট্র্যাক্টর মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তা মানেননি মিছিলে যোগ দেওয়া আন্দোলনকারীদের বড় একটি অংশ। তাঁরা ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লির ভিতর ঢোকার চেষ্টা করেন। পুলিশ লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। কিন্তু তাতেও আটকে রাখা যায়নি আন্দোলনকারীদের। পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে দেখে রাজধানীর মেট্রো, ইন্টারনেট পরিষেবা আংশিক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৮৬ জন পুলিশকর্মী। ট্র্যাক্টর উল্টে মৃত্যুও হয়েছে এক কৃষকের। এই ঘটনার জন্য দিল্লি পুলিশের ব্যর্থতার বিষয়টি যেমন উঠে আসছে তেমনই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই হিংসার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন। এই ঘটনার পর আগামী দিনে আন্দোলন কোন পথে দাঁড়ায় সে দিকে এখন নজর দেশবাসীর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement