ঘটনাচক্রে, ২০১৬ সালে সিধু বিজেপি ছাড়ার পরে প্রাথমিক ভাবে অরবিন্দ কেজরীবালের দলের যোগদানের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটারকে প্রকাশ্যে তাঁর দলে যোগদানের আহ্বানও জানিয়েছিলেন আপ-প্রধান। ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার প্রতিশ্রুতিও দেন।
নভজোৎ সিংহ সিধু। ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটে আম আদমি পার্টি (আপ)-কে জেতানোর জন্য পঞ্জাবের জনতাকে অভিনন্দন জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিংহ সিধু। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘নতুন পথে হাঁটার এমন চমৎকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি পঞ্জাবের জনতাকে অভিনন্দন জানাই।’’
কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে থেকে কি তিনি দলের ভোট-ভরাডুবির জন্য পঞ্জাবের আমজনতাকে অভিনন্দন জানাতে পারেন? সিধুর জবাব, ‘‘আমি চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু জনগণ পরিবর্তন বেছে নিয়েছে। এবং তারা ভুল করেনি। জনগণের কণ্ঠ আসলে ঈশ্বরের কণ্ঠ। আমাদের সকলেরই উচিত বিনম্র ভাবে তার রায় স্বীকার করে নেওয়া।’’
পঞ্জাবের উন্নয়নই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য জানিয়ে সিধু বলেন, ‘‘আমি কখনওই আমার লক্ষ্য থেকে বিচ্যূত হইনি। ভবিষ্যতেও হব না।’’ নিজেকে ধর্মযুদ্ধে শামিল এক যোগীর সঙ্গেও তুলনা করেন সিধু।
পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটে এ বার স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনৈতিক সমীকরণ ভেঙে গিয়েছে। শিরোমণি অকালি দল বনাম কংগ্রেস রাজনীতিতে বিভক্ত ওই রাজ্যে এ বার বিধানসভা ভোটে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে আপ। ২০১৭-র বিধানসভা অমৃতসর-পূর্ব কেন্দ্রে জিতলেও এ বার সেখানে আপ প্রার্থীর কাছে হেরেছেন সিধু। এই পরিস্থিতিতে তাঁর শুক্রবারের মন্তব্য আপ-এ যোগদানের ইঙ্গিত কি না, তা নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে।
ঘটনাচক্রে, ২০১৬ সালে সিধু বিজেপি ছাড়ার পরে প্রাথমিক ভাবে অরবিন্দ কেজরীবালের দলে যোগদানের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটারকে প্রকাশ্যে তাঁর দলে যোগদানের আহ্বানও জানিয়েছিলেন আপ-প্রধান। ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সিধু। সম্প্রতি সিধু জানিয়েছেন, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর সে সময় তাঁকে কংগ্রেসে আনার জন্য অন্তত ৭০ বার বৈঠক করেছিলেন।